ভূগর্ভস্থের পানির অধিক ব্যবহার ও নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি
নেত্রকোনা থেকে খাদিজা আক্তার লিটা
চৈত্র মাস লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মগড়া নদী, পানি কমে গিয়ে তলায় নেমে গেছে। আশেপাশের পুকুরের পানিও কমে গেছে। লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের লোকজন বাংলাদেশের অন্যান্য গ্রামগুলোর মতই খাবার পানির জন্য টিউবওয়েল উপর নির্ভরশীল । শুকনা মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে সংসারের সকল কাজে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে।
পরিবারের সকল কাজে পানি সংগ্রহের দায়িত্ব পরিবারের নারী সদস্যের। ফালগুন চৈত্র মাসে এ সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। টিউবওয়েল চেপে পানি তুলতে গিয়ে নারী তার শরীরের সকল শক্তি ব্যয় করে থাকে। সেই সাথে গর্ভবতী মা, শিশু ও কিশোরীরাও পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম দুরভোগের মুখে পড়ে। নারীর এ কষ্টের কথা বিবেচনা করে নেত্রকোনা লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের অগ্রগামী কিন্ডার গার্টেন ও বারসিকের উদ্যোগে অগ্রগামী কিন্ডারগার্টেন স্কুল মাঠে “ভূ-গর্ভস্থের পানির অধিক ব্যবহার ও নারীর স্বাস্থ্য জুকি” বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অংশগ্রহণ করেন লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর মমতা বেগম, মানবাধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য খালেক দেওয়ান,অগ্রগামী কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক মো. মানিক মিয়া ও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা নারীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গদাইকান্দি, সুলতানপুর হাসামপুর, চকপাড়া রামপুর, আতকাপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধীক নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা।
“পানির জন্য প্রকৃতি” প্রতিপাদ্য বিষয় অগ্রগামী কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের চারপাশে নদী, খাল, বিল সকল কিছু প্রকৃতির একটি অংশ। প্রকৃতিকে ঠিক রাখতে হলে আমাদের পানির উৎসগুলো ঠিক রাখতে হবে।” মো. মানিক মিয়া তার ব্যক্তবে বলেন, “প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে পানির সঠিব ব্যবহার সচেতন হতে হবে এবং আগামী প্রজন্মেকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।” এ সম্পর্কে গৃহিনী আছমা খাতুন বলেন, “পানির সঠিক ব্যবহারের সাথে সাথে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন নারীর পরিশ্রমের বিষয়টি সকলে বিবেচনা করা উচিত। পরিবারে পুরুষ সদস্যরা এ বিয়টি বিবেচনা করে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিলে নারীদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।”