বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মানিকগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মানিকগঞ্জ থেকে আশীষ চন্দ্র সরকার
১৪ ডিসেম্বর! বাঙালি জাতির জন্য এক বেদনার্ত দিন। ১৯৭১ সালে এদিনে বাঙালি হারিয়েছিলো তার সূর্য সন্তানদেরকে। যে ক্ষতি পূরণ হবার নয়। সেই সব সূর্য সন্তানদের স্মরণে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিম আলোচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার জ্ঞানের দূত বাবু জগদীশ চন্দ্র মালো ( সাবেক অধ্যক্ষ সিংগাইর সরকারি ডিগ্রি কলেজ)। শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যা এবং বিজয় দিবসের ইতিবৃত্তি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, বিউটি রানী সরকার, রিনা আক্তার, শাহীনুর রহমান, নিতাই চন্দ্র সরকার প্রমুখ। উপস্থিত সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯৪৭-১৯৭১সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস ও মানিকগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তানদের কৃতিত্ব বিষয়ক কুইজ এর ব্যবস্থা করা হয়। কুইজ শেষে বিজয়ীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই পুরস্কার হিসাবে তুলে দেওয়া হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জগদীশ চন্দ্র মালো বলেন, ‘আজ আমাদের একটি হৃদয়বিদারক দিন। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা যখন তাদের পরাজয় নিশ্চিত, এমন সময় বাংলাকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বাংলার সূর্য সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের। আমরা এসকল সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।’ তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমার মেধাশূন্যের যে প্রচেষ্টা চালিয়ে, তা সফল হয়নি। আমরা চলছি এবং আগামীতে আরো দূর চলে যেতে পারবো। তোমাদের জানার মধ্যে দিয়েই আবার অনেক বুদ্ধিজীবী জন্ম নিবে বলে আশা রাখি।’
জগদীশ চন্দ্র মালো শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মরণে এমন মেধা বিকাশ মুলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমকে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে তিনি নিজে একটি কুইজ পরিচালনার নেতৃত্ব দানের প্রতিশ্রুতি দেন। বারসিক কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস তরুণ্যের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানান, সেই সাথে বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস ও জ্ঞান আহরোণ যে কোন উদ্যোগের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমের সভাপতি আশীষ কুমার বলেন, ‘এ টিম ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে আসছে। তার ধারাবাহিকতাই আজকের এই মহতী অনুষ্ঠান। নতুন প্রজন্মকে এ সকল সূর্য সন্তানদের ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানানো অতীব জরুরি।’
শহীদ রফিক সেচ্ছা সেবক টিম এ ধরনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সেই সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত হবার জন্য, তারুণদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান।