সাম্প্রতিক পোস্ট

প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে বীজ বিনিময়

রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
রাজশাহীর নামোভদ্রায় কিছু প্রান্তিক মানুষের বসবাস। দিন মজুর এসব মানুষের ঠিকমতো বাজার করারও সামর্থ নেই। সেখানে পুষ্টিকর খাবার বা ফল কেনা যেন তাদের কাছে স্বপ্ন। তবে কিছু সবজি আছে যা কিছু পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং বাড়ির সাথের জায়গাতেও লাগানো যায়।


এরকমই একটি উদ্যোগ নিলে কিছু পরিবারের নারীরা সহজে তাদের বসতবাড়িতে এসব সবজির বীজ বপন করে অন্তত এসব সবজি তাদেরকে বাইরে (বাজার থেকে) থেকে সংগ্রহ করতে হয় না। রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তিতে বারসিক’র উদ্যোগে ওই এলাকার দরিদ্র পরিবারের নারীকে পুষ্টি বাড়ি [ব্যাংক] গড়ার লক্ষ্যে বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বারসিক এসব নারীদেরকে চাল কুমড়া, লাউ, পুঁই, ঢেড়শ প্রভৃতি বীজ সহযোগিতা করেছে।


এই প্রসঙ্গে নামোভদ্রায় জমেলা নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘আমার বাসায় সজিনা গাছ আছে। এই বীজগুলো পেয়ে খুব ভালো হলো। আমি এগুলো লাগাবো তাহলে বাড়িতে সবজি হলে আমাকে আর সবজি কিনতে হবে না।’ অন্যদিকে একই এলাকার পারভিন বলেন, ‘এই বীজগুলো পেয়ে আমি আরো উপকৃত হলাম। এসব বীজ বপন করে আমার বাড়িতে সবজির পরিমাণ বাড়াতে পারবো। আমার বাড়িতে সজিনা, পেঁপে, নিম, তুলসি গাছ আছে। এই বীজ পেয়ে আমার ভালোই উপকার হয়েছে।’ বারসিক’র এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার ১৩টি পরিবারকে বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। করোনাকালীন সময়ে তাদের কষ্ট যেন দিনকে দিন আরো বেড়েছে। বেড়েছে পুষ্টিহীনতাও। অনেকে জীবিকা হারিয়েছেন। যারা জীবিকা হারিয়েছেন তারা এখন বলতে গেলে পথে বসেছেন! তবে এই ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে নামোভদ্রায় দরিদ্র পরিবারগুলো কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। কে জানে এই উদ্যোগের মাধ্যমেই হয়তো তাদের প্রতিটি বাড়িই পরিণত হতে পারে এক একটি পুষ্টি বাড়ি!

happy wheels 2

Comments