কার্বন থামাও, আমাদের বাঁচাও
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
নেত্রকোনা জেলার পৌরএলাকার রাজুর রাজার কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, উন্নয়ন কর্মী ও যুবরা মিলে ‘কার্বন থামাও, আমাদের বাঁচাও’ শিরোনামে এক জলবায়ু ন্যায্যতার বন্ধনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নেত্রকোণা সম্মিলিত যুব সমাজের সদস্য, সাংবাদিক,উন্নয়ন কর্মী ও বারসিকের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
৩০০ শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও যুবদের অংশগ্রহণে এই জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ও প্রাণ ও প্রকৃতি ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, “ধনী দেশের বিলাসিতা, লাভ ও লোভের কারণে প্রকৃতিতে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, পৃথিবীজুড়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্ত হচ্ছে, কৃষির ক্ষতি হচ্ছে, প্রাণবৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে, জলাভূমি কমে যাচ্ছে। কিন্তু ধনী দেশের মানুষ জলবায়ু চুক্তি মানছেনা। তারা মিথ্যে কথা বলছে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের ভোগ বিলাস কমাতে হবে। প্রকৃতি বিরোধী কাজ বন্ধ করতে হবে।’
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো: অহিদুর রহমান বলেন, ‘ধনীদের লোভ লালসার জন্য আমাদের দেশে দুর্যোগ বাড়ছে, জলবায়ু উদ্বাস্তু বাড়ছে, পেশা হারাচ্ছে, প্রাণবৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে। উন্নতদেশের নেতাদেরকে কার্বন নীতি মেনে চলছে হবে।”
শিক্ষার্থীরা নানান রঙের প্লেকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে শ্লোগান তোলেন। শিক্ষার্থী ও যুবরা ‘কার্বন দুষণ থামাও, আমাদের বাঁচতে দাও’, ‘একটাই পৃথিবী, তোমাদের ভোগবিসালের কারণে বিলুপ্ত করোনা’, ‘ধনী দেশের মানুষ মিথ্যে বলছে’, ‘জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে’, ‘দেশে দেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষ বাড়ছে’, ‘ওজোন স্তর নষ্ট করোনা, হারিয়ে যাবো আমরা’, ‘জীবাশ্ম জ¦ালানির ব্যবহার কমাও’, ‘আমরা চাই জলবায়ু ন্যায্যতা, ‘জলবায়ু উদ্বাস্তুতার জন্য ধনী দেশ দায়ী’, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বিলুপ্ত হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য’, ‘জলবায়ু ন্যায্যতার জন্য জনমঞ্চ গড়ো, যুব থামাও’, ‘অস্ত্র কারখানা বন্ধ করো, পাঠাগার গড়ো’, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বাড়ছে দুর্যোগ উদ্বান্তু হচ্ছি আমরা’, ‘ধনী দেশের ভোগ বিলাস আমার দেশের সর্বনাশ’সহ তিন শতাধিক প্লেকার্ড প্রদর্শন করে।
আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে হবে। তার জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করতে হবে। তাই ধনী দেশের ভোগ বিলাস কমাতে হবে, জলবায়ু চুক্তি মানতে হবে, জলবায়ু ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে।