বীজ ব্যাংকে দেশি ধানের বীজ বিনিময় উৎসব

রাজশাহী থেকে অমৃত সরকার
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে কৃষক মোঃ মুকিদ দুলাল ১০ কেজি ঝিঙ্গাশাইল বীজ নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। এ বীজটুকু জেলার তানোর উপজেলার বরেন্দ্র বীজ ব্যাংকে জমা দিয়ে তিনি আবার ২ বিঘা জমির জন্য দাদকানি জাতের ১০ কেজি বীজ নিয়ে যাবেন। আর তাঁর দেওয়া বীজ থেকে অন্য কৃষক চাষ করবেন ঝিঙ্গাশাইল জাতের ধান। তানোর উজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫০জনের বেশি কৃষক নিজেদের চাষকৃত ঝিঙ্গাশাইল, মাগুর শাইল, দাদকানি, বাদশাভোগ, কাটারী ভোগ, রাঁধুনিপাগল, কালোজিরা, রুপকথা, চিনিসংকর, দীগা, বাসমতি, গাঞ্জিয়া জাতের ধানগুলো নিয়ে বীজ নিময় উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। সবাই নিজেদের চাষকৃত ধান বীজগুলো বরেন্দ্র বীজ ব্যাংকে জমা দিয়ে চাহিদা ও পছন্দ মতো ধানের জাত আবার নিয়ে যাবেন বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক থেকে। বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক থেকে বীজ নেওয়ার নিয়ম যে এক কেজি বীজ নিলে চাষ শেষে বীজ ব্যাংকে ফিরিয়ে দেওয়া।


জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২১ প্রাপ্ত বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রির্সোস সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ ও বরেন্দ্র বীজ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামে আমন মৌসুমে দেশি ধানের বীজ বিনিময়ের এ উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তানোর উপজেলার জাতীয় কৃষি পুরষ্কার-২০০৫ ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার-২০১৭ প্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলার মন্ডুমাল, বহড়া, মইন, চিমনা, যোগিশো, সাহ-পুর, চিনাশো গ্রামের কৃষক।


কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘বরেন্দ্র বীজ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতে আমাদের সহযোদ্ধা গত হয়েছেন। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে ব্যাংকে সংরক্ষিত তিন শতাধিক ধান জাতগুলো রক্ষা করতে চাই। সে উদ্দেশ্য নিয়ে আজ আমরা এ বীজ বিনিময় উৎসবের আয়োজন করেছি। এছাড়াও আমরা এবারের চলতি আমন মৌমুমে শতাধীক জাত নিয়ে একটি কনজারভেশন প্লট করব বীজগুলো সরক্ষণের জন্য।’

happy wheels 2

Comments