নিজে বীজ রেখে চাষাবাদ করা অনেক ভালো
কলমাকান্দান, নেত্রকোনা থেকে গুঞ্জন রেমা
কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ভেলুয়াতলী গ্রামে বাইর শিল্প সংগঠনের পরিচালনায় সম্প্রতি কৃষক নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, বাইর শিল্প সংগঠনের সভাপতি আব্দুল মোতালিব ও স্থানীয় কৃষক কৃষাণীবৃন্দ।
কৃষক নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণা প্লটে মোট ২২টি স্থানীয় ধানজাত রোপণ করা হয়। এলাকা উপযোগী ধানজাত নির্বাচন স্থানীয় ধানজাত সংরক্ষণ ও বর্ধণের উদ্দেশ্যে গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়। মাঠ দিবসে সর্বপ্রথম গবেষণা প্লটটি পরিদর্শন করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কৃষক কৃষাণীগণ। গবেষণা প্লটটি পরিদর্শন করে স্থানীয় কৃষকগণ মোট ৬ ধানজাত নির্বাচন করেন। যেমন আদিয়ান কালো, কাবুনদুলান, লোহাজং, মালশিরা, বিকল্প ও বিশালী বিন্নি। এর মধ্য থেকে আগামী আমন মৌসুমে চাষ করার জন্য বীজের জন্য নূর ইসলাম ও মঞ্জুরুল হক চাহিদা দেন কাবুন দুলান ধানটি, আব্দুল জব্বার রফিক ও মঞ্জুরুল হক চাহিদা দেন বিকল্প ধানের জাত, বিশালী বিন্নির বীজ চাহিদা দেন তেরেজা জাম্বিল।
মাঠ দিবসে কৃষক নেতৃত্বে ধান জাত গবেষণার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য কৃষকদের মাঝে উপস্থাপন করা হয় এবং গবেষণা প্লটটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেসব কর্মপ্রক্রিয়াগুলো ধাপে ধাপে পালন করা হয় তা বিস্তারিত আলোচনা করেন আব্দুল মোতালিব। মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘প্লটের প্রায় সবগুলোই ভালো হয়েছে তবে আদিয়ান কালো, কাবুনদোলান, লোহাজং, মালশিরা, বিকল্প ও বিশালী বিন্নি এই ছয়টি জাত খুবই ভালো হয়েছে। আগামী বছর আমন মৌসুমে আমি দুটি ধানজাত কাবুনদোলান আর বিকল্প এ দুটি চাষ করবো।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বীজের জন্য বাজারের অপেক্ষায় না থেকে নিজে বীজ রেখে চাষাবাদ করা অনেক ভালো। যেহেতু হাইব্রিডগুলো থেকে আমরা বীজ রাখতে পারি না তাই স্থানীয় জাত থেকে কোন ধানের ফলন ভালো তা নির্বাচনের জন্য বারসিক আপনাদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে, যা আপনাদের জন্য খুবই ভালো একটি সুযোগ বলে আমি মনে করি।’