নুরুল ইসলামের “ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিল”

মো. মনিরুজ্জামান ফারুক ,ভাঙ্গুড়া (পাবনা) থেকে

ধান ভাঙাতে আর কোন ঝামেলা নেই। বাড়িতে যখন রাইচ মিল এসে হাজির তখন আর কিসের চিন্তা! মাথায় করে অথবা গাড়িতে করে মিলে ধান ভাঙাতে নিয়ে যাওয়ার দিন শেষ। রাইচ মিলে ধান ভাঙাতে গিয়ে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা নয়। মোবাইল ফোনে খবর দিলে ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিল নিয়ে এসে ধান ভাঙায়ে দিয়ে যান মিল মালিক। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার গ্রামে গ্রামে এখন কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিলের। বাড়িতে বসেই ধান ভাঙাতে পেরে খুশি এখানকার কৃষক-কৃষাণীরা। এ ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিলে ধান ভাঙাতে মণ প্রতি খরচ লাগে ৩০ টাকা। বাড়িতে গিয়ে ধান ভাঙায়ে দিয়ে যেতে হয় বলে এর খরচ একটু বেশি।

Photo Bhangoora Pabna 04-07-2018 (4)F
এমন একজন রাইচ মিল মালিকের সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধি’র। তিনি উপজেলার ভবানীপুর ভাটোপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম। বয়স ৫০ বছর। পিতা রজব উদ্দিন খাঁ। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙানো তাঁর পেশা। তিনি জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর সংসারের অভাবের কারণে আর পড়াশোনা এগোয়নি। জীবিকার তাগিদে পাশের গ্রামের উস্তাদ সেকেন মেম্বারের কাছে ধান ভাঙানোর কাজ শিখে যোগ দেন এ পেশায় । এ জন্য তিনি প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয়ে শ্যালোমেশিন চালিত ভটভটিগাড়িতে হলার লাগিয়ে নিজ হাতে তৈরি করেন “ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিল” ।

Photo Bhangoora Pabna 04-07-2018 (2)k F

৪ সন্তানের জনক নুরুল ইসলাম আরও জানান, সারাবছরই ধান ভাঙানোর কাজ থাকে। বিশেষ করে বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ধান ভাঙানোর কাজ বেশি হয়। কারও ধান ভাঙানোর প্রয়োজন হলে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রাইচ মিল নিয়ে হাজির হন। তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ রাইচ মিলে ঘণ্টায় ১০/১২ মণ ধান ভাঙানো যায়। এতে ২ লিটার তেল খরচ হয়। প্রতি মণ ধান ভাঙায়ে তিনি পান ৩০ টাকা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ মণ ধান ভাঙানো যায়। এতে সব খরচবাদে তার প্রতিদিন আয় হয় ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা।

happy wheels 2

Comments