গাছ রোপণ করি, প্রকৃতিকে সুরক্ষিত করি
হরিরামপুর মানিকগঞ্জ থেকে মুকতার হোসেন ও সত্যরঞ্জন সাহা
পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেশের গাছপালা, সবুজে শ্যামলে ভরা। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ ঘেরা এই দেশ। কিন্তু প্রকৃতির উপর মানুষের আগ্রাসী আচারণের কারণে দিনকে দিন ধ্বংস হচ্ছে বনবাদাড়। প্রকৃতির বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য। প্রকৃতির ওপর অত্যাচারের ফলস্বরূপ মানুষসহ প্রাণির উপর নেমে আসছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় তথা নদীভাঙন, ঝড়, ব্রজপাত। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানীসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এখনও বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে প্রকৃতিসহ অন্যান্য প্রাণকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করা সম্ভব। হরিরামপুরের যুবক, কৃষক সংগঠন, প্রতিবন্ধী পরিষদ, নারী সংগঠন, উপজেলা কৃষি অফিস ও বারসিক সমন্বিত উদ্যোগে সম্প্রতি ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
অন্যদিকে বিশ^ পরিবেশ দিবসে ‘প্রকৃতিকে বাঁচানোর এখনই সময়’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে হরিরামপুর উপজেলায় মাসব্যাপি ফলজ, ঔষুধি, বনজ ও শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে এই বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশ^ পরিবেশ দিবসে হরিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জহিুরুল হক ও বারসিক প্রতিনিধি বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে করোনাকালীন সংকটের সময়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষি কাজকে চলমান রাখতে হবে। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজন। আর এই খাদ্য গাছপালা, কৃষি, গরু ছাগল সব কিছু থেকে আমরা সংগ্রহ করে থাকি। তার মধ্যে বৃক্ষ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে বৃক্ষ রোপণ বেশি প্রয়োজন। এখন বর্ষা মৌসুম গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। এসময় প্রচুর বৃষ্টি পাত হয় ফলে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ৃ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় বৃক্ষ রোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, হরিরামপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়। নদী ভাঙনের কারণে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর নদী ভাঙনে গাছপালা, আবাদী জমি, স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, জমির ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে গাছপালা অন্যতম।