হরিরামপুরের কৃষকদের মাঝে বারসিক’র স্থানীয় বীজ বিতরণ

হরিরামপুর থেকে মুকতার হোসেন

বারসিক হরিরামপুর উপজেলার কৃষি প্রাণবৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ রক্ষায়, খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় হরিরামপুর উপজেলার আন্দারমানিক, কর্মকারকান্দি, যাত্রাপুর, বাহিরচর, দড়িকান্দি, পাটগ্রামচরসহ বিভিন্ন গ্রামে ২০০ পরিবারে মধ্যে বন্যা পরবর্তীতে কৃষকদের মধ্যে দ্রæত ফলনশীন শাকসবজি উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে এবং তাদেও মাঝে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শিম, লালশাক বীজ বিতরণ করছে।


মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলা একটি দুর্যোগ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত প্রতিবছর বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, নদী ভাঙনের ফলে ফসলসহ শাকসবজি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সকল ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠন। বিশেষ করে বন্যার পরবর্তীতে এলাকার মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এলাকার হাট বাজারে তরকারি পাওয়া যায় না, যা পাওয়া যায় দাম অনেক বেশি। সাধারণ প্রান্তিক কৃষকদের কিনে খেতে হিমসিম খেতে হয়। কৃষকদের যাতে বাজার নির্ভরশীল হতে না হয়, তারা যেন নিজ বাড়িতে খাদ্য উৎপাদন করে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন সেই লক্ষ্য নিয়ে বারসিক এসব কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণসহ তাদেরকে জৈব উপায়ে শস্য-ফসল উৎপাদনে উপকরণ সহযোগিতা (জৈব সার, বীজ) উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।


এই প্রসঙ্গে আন্দারমানিক গ্রামের কৃষাণী লিলি বেগম (৫২) বলেন, ‘এ বছর বন্যার পানিতে আমাগো আলান পালান, ভিটে বাড়িতে পানি উঠার কারনে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের হাতে বীজ আছে আবার কারো কাছে নাই। আমরা নিজেরা বীজ বিনিময় করি। একজন আরেকজনকে নেই দেই। মাটিতে জো আসার সাথে সাথে সবজি চাষ শুরু করেছি। যাতে আমাদের বাজার থেকে কিনে এনে খেতে না হয়। শাক সবজি উৎপাদন করে নিজেরদের খাদ্য চাহিদা পুরণ করে বাজারে বিক্রি করে পরিবারে বাড়তি খরচ কমাতে সহায়তা করে। আমাদের পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরণেও ভূমিকা রাখে এ সবজি। বারসিক আমাদেরকে নানাভাবে সহায়তা করছে।’

happy wheels 2

Comments