উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে
রাজশাহী থেকে মো. শহিদুল ইসলাম
উন্নয়নে যখন স্থানীয় মানুষের মতামত এবং বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয় সেটি অনেক বেশি স্থায়িত্ব ও কার্যকর হয়। গতকাল (২৫এপ্রিল) রাজশাহী জেলা প্রশাসক হল রুমে জিও-এনজিও সমন্বয় সভায় জননেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রমে বারসিক’র সহায়ক ভূমিকা নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপনকালে বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।
সমন্বয় সভায় রাজশাহীর চারটি উপজেলা পবা, গোদাগাড়ী, তানোর এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে চলমান জন নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জননেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রমের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরা হয়। কোন কার্যক্রমে জনগোষ্ঠীর চাহিদা এবং প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকলে সেই উন্নয়নে অর্থ খরচও কম হয়।
সমন্বয় সভায় চলতি বছরে বারসিক’র সহযোগিতায় বরেন্দ্র অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় এবং কম খরচ ও বেশি লাভজন খরাসহনশীল রবি মৌসুমে ১৪টি জাতের কৃষি (গুজি তিল, কালিজিরা, জিরা মসলা, সুলটি কালাই, কাউন, তিশি, কুসুম , সলুক, রাধুনি, ধনিয়া, বাকলা কালাই, জব, ছোলা, মটর) তিনটি উপজেলায় গ্রাম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষ করে কৃষকদের সফলতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। একইসাথে নিজস্ব জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে কম কার্বন নিঃসরণকারী ও ব্যয় সাশ্রয়ী উন্নত চুলার সম্প্রসারণের দিকগুলোও তুলে ধরা হয়।
সমন্বয় সভায় শহিদুল ইসলাম বলেন, “জননেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রমে সবসময় বাজেট বা অর্থ বড় বিষয় হয়ে উঠে না। প্রয়োজন উদ্যোগ আর সমন্বিত হওয়া।” তিনি উদাহরণ হিসেবে পবা উপজেলার একজন মুনিরা বেগমের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, মুনিরা বেগম নিজেই ভার্মী কম্পোস্ট তৈরি করে আয় করছেন এবং তার দেখাদেখি আরো ৪৫জন নারী এই কাজ শুরু করেছেন। অন্যদিকে তানোর উপজেলার মোহর গ্রামের স্বপ্ন আশার আলো তরুণ সংঘের তরুণরা নিজেরা উদ্যোগে গ্রামটির দু’টি পাড়াকে নিরক্ষরমুক্ত ঘোষণা করার বিষয়টিও সবার সাথে সহভাগিতা করেন।
সমন্বয় সভায় রাজশাহীতে কর্মরত ৭০টি এনজিওর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণ করেন উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, উপ পরিচালক স মাজ সেবা কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রতিনিধি।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে উন্নয়ন সমন্বয় সভাটি সঞ্চালনা করেন সহকারী কমশিনার ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট উম্মে তাবাসুম।