জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলার ব্যবহার বাড়াতে হবে
মানিকগঞ্জ থেকে নজরুল ইসলাম ও নীলিমা দাস
জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলার ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে করে নারীরা নানান স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে যেমন রক্ষা পাবেন ঠিক তেমনি জ্বালানি খরচও কমাতে পারবেন। সম্প্রতি মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংলাপ ও আলোচনা সভায় আলোচকগণ এ কথা বলেন।
সেভিং এনার্জি সেভিং লাইফ, দেশীয় বীজ সংরক্ষণ করি, জ্বালানি সাশ্রয় করি সুখী নবায়নযোগ্য পরিবার গড়ি” এই ধরনের বিভিন্ন স্লোগান ধারণ করে মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এক দল কৃষক-কৃষাণীর উদ্যোগে পারিবারিক জ্বালানি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে কৃষক, নারী, উন্নয়নকর্মী, যুবকসহ নানান পেশা ও শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য কৃষক সমিতির নেতা এখলাছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মাসুদুর রহমান, বারসিক সহযোগী গবেষক নজরুল ইসলাম, নীলিমা রাণী দাস, কৃষক নেতা তারা মিয়া, ইসমত আলী, কৃষাণী শাহনাজ বেগম, সেলিনা ও আলেয়া আক্তার প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তা ও অংশগ্রহণকারীগণ দেশীয় বীজ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে আমরা কোম্পানির বীজের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে দেশীয় বীজ সংরক্ষণ করতেই হবে।”
সংলাপ ও আলোচনায় প্রচলিত চুলায় রান্না করে নারীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও সমস্যা এবং এ সমস্যা থেকে উত্তরণের নানা সুপারিশ। আলোচকগণ অংশগ্রহণকারীদের জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলা ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
সংলাপের পাশাপাপাশি দেশীয় বীজ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় কৃষাণ-কৃষাণীরা পরস্পরের সাথে বীজ ও কৃষি সম্পদ বিনিময় করেন।