পাখিটিকে অবমুক্ত করে সাদাবের কী যে আনন্দ!
রাজশাহী থেকে অমৃত সরকার
শহরের বহুতল ভবনে কোন পাখির জন্য কোন স্থান নেই। খাবার বা বাসস্থান তৈরি কোন কিছুতেই শহরের বহুতল ভবনে কোন পাখির জন্য কোন জায়গা নেই। এখন তর্কের বিষয় হতে পারে পাখিরা কি কখনও কোন বহুতল ভবনে বাসা বেঁধেছে? আসলেও তো পাখিরা কোনদিন বহুতল ভবনে বাসা বাঁধেনি। তারা বাসা বেঁধেছে কোন বড় গাছের ডালে। খেয়েছে গাছের পাঁকা ফল বা বীজ। ফল বা বীজ খেয়ে তারাই গাছের বংশ বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু সে গাছ কেটে ডাল ভেঙ্গে আমরাই তো পাখিদের করেছি বাস্তুহারা। দিয়ে চলেছি খাদ্যের নিদারুন কষ্ট। তাই তো এখন শহরের পাখিগুলো বাসা বাঁধতে বা খাদ্যর খোজে ঢুঁকে পরে বহুতল ভবনে।
আর পাখিগুলো তখন কখনও কখনও আটকে পরে মারা যায় বা ঝামেলা এড়াতে মেরে ফেলা হয়। আজ তেমনই একটি বুলবুলি পাখি একটি ছয় তলা ভবনে খাবারের খোঁজে এসে সিঁড়ি ঘরে আটকে পরে। অনেকক্ষণ স্বচ্ছ কাঁচের আবদ্ধ জায়গা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে বের হতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পরে। সিঁড়ি দিয়ে কোন মানুষ গেলেই ভয়ে আবারও চেষ্টা করে বের হওয়ার জন্য। তার চেষ্ট চলতে থাকে অনেকক্ষণ? যার ফলে পাখিটি আর উড়ে যাওয়ার ক্ষমতাও ছিলো না।
এটা প্রথমে লক্ষ্য করে ওই ভবনের ৪র্থ তলায় বাস করা ছাত্র সাদাব জারির! কিন্তু পাখিটির অবস্থান তার উঁচ্চতা থেকে বেশি হওয়ায় সে পাখিটিকে ধরতে সক্ষম হচ্ছিল না। এই সময় লেখক অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ঘটনাটি লক্ষ করে এবং পাখিটিকে ধরতে সক্ষম হয়। এরপর নীচতলার বড় গেট খুলে পাখিটি অবমুক্ত করা হয়। পাখিটি দ্রুত উড়ে যাওয়া দেখে সাদাবের কি যে হাসি। ৩য় শ্রেণির সাদাব জারির তখন বলে উঠে এভাবে পাখিটি থাকলে তো পাখিটি না খেয়ে মারাই যেত।
ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়েও সারাদিন অনেক ভালো কাজ করা যায়। যা মনের কোনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। শুধু মানুষ নয় এই প্রকৃতি সবার হোক। সবার সহবস্থানেই রক্ষা পাবে প্রকৃতির ভারসাম্য।
ফিচার ছবিটি ইন্টারনেট এর অপেন সোর্স থেকে সংগৃহীত