আমরা নারী আমরা পারি
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
বারসিক’র সহযোগিতায় এবং গ্রামের নারীদের উদ্যোগে সম্প্রতি ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঘিওর উপজেলার তরা গ্রামের রোজিনা আক্তারের বাড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এদিন তরা গ্রামের শতবাড়ির সদস্যবৃন্দরা সকাল থেকে তাদের কাজ কর্ম শুরু করেন, কেউ চালের গুড়ি ভাঙা, কেউ নানা ধরনের পিঠা তৈরির কাজ করেন, কেউবা নকশীকাঁথা তৈরির কাজ করেন। এভাবে ৮ মার্চ দিনটাকে তারা উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করেন।
বারসিক’র সহায়তায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে রোজিনা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন-বানিয়াজুরী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রোকেয়া আক্তার, তরা গ্রামের রেবেকা, ঝর্ণা, লিপি, মিতু ইয়াছমিন প্রমুখ। আলোচনায় তারা বলেন, ‘এবার আমাদের গ্রামে প্রথম নারী দিবস পালন হলো। নারীরা আগের তুলনায় আরও বেশি সচেতন। তারা তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন। সমাজ ও পরিবারে নারীরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। এমন কাজ নেই যে নারীরা পারেন না। এখন তারা বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে পারেন। নারীরা কৃষিকাজও করেন। আমরা নারী, আমরা সব কাজ করতে পারি।’
কোন সমাজের অগ্রসরমানতা বুঝতে হলে সেই সমাজের নারীর অবস্থান পর্যবেক্ষণ করা উচিত। একটি সমাজে বা রাষ্ট্রে নারী কতোখানি স্বাধীনতা ও মর্যাদা ভোগ করেন তা থেকেই ওই সমাজ বা রাষ্ট্রের বিকাশ অনুধাবন করা যায়। সমাজ বা রাষ্ট্রে নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন নয়, নানাসূত্রে তারা পুরুষের উপর নির্ভরশীল। মর্যাদা বা সন্মানের সাথে ক্ষমতার যোগসূত্রটি অনিবার্য। তাই নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও সরকারি বেসরকারি কাঠামো এখন এ ব্যাপরে বেশ তৎপর। ইউনিয়ন পরিষদের বা জাতীয় সংসদে সদস্যপদ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ত্বরান্নিত বা নিশ্চিত করা হচ্ছে।