নদীর প্রাণ রক্ষা চাই

নদীর প্রাণ রক্ষা চাই

মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার

“নদী বাঁচায় প্রাণ-প্রকৃতি, নদীর জীবন রক্ষা চাই” শ্লোগানকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক নদীকৃত দিবস ও বিশ্ব পানি উপলক্ষে মানিকগঞ্জের নদীর অবাধ প্রবাহ, দখল ও দূষণমুক্ত থাকার দাবিতে মিডিয়া ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল (১৯ মার্চ) ধলেশ্বরী রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. আজহারুল ইসলাম আরজু, বারসিক, ধলেশ্বরী নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি এবং মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব এর যৌথ আয়োজনে উক্ত কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ধলেশ্বরী নদী খননের জন্য তিল্লীর উৎসমুখ খননের দাবি জানানো হয়।

28907745_1182721931858464_1618226858_n

অনুষ্ঠানে আজহারুল ইসলাম আরজু, বলেন, “আমাদের আন্দোলনের ফলে-নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে খনন হয়েছে। কিন্তু কোথায় খরচ হয়েছে তার ফলাফল কি তা আমরা দেখতে চাই। কালীগঙ্গা খনন হচ্ছে ভাটি থেকে। নদী সবসময় উজান থেকে খনন করতে হয়। বর্তমানে সরকারই প্রথম নদী রক্ষার জন্য কাজ হাতে নিয়েছে। নদী খনন হচ্ছেও অনেক জায়গায়। সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করা। তিল্লীর মুখ কেটে দেওয়া ও প্রাকৃতিক জলাশয় তৈরি করা এটাই আমাদের দাবি।”

মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতিগোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, “এখন যে পরিস্থিতি নদী, পানি ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন। পানি না থাকলে সেচে সমস্যা হবে। কৃষিতে সমস্যা হলে মানুষের সবার সমস্যা হবে। সকলে একসাথে নদী রক্ষার কাজ করা। উৎসম্মুখ খনন করা দরকার। এমনভাবে খনন করতে হবে যাতে বায়রাসহ অন্যান্য উৎসমুখ একাই খুলে যায়। ধলেশ্বরী, কালীগঙ্গায় কোন পানি থাকে না। মানিকগঞ্জের ধলেশ্বরী ইতিহাসের আছে অথচ সেই নদীর আজ চিহ্নিত নাই।”

29004300_1182721838525140_382245544_n

মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, “আমরা যে বিভিন্ন নিউজ করি সেখানে আজকের এই বিষয়টি যাবে। সমস্যা নিয়ে আবারও কথা হয়েছে। অনেকটাই কাজ হয়েছে।”
বেতিলা গ্রামের কৃষক লালচাঁন মিয়া বলেন, “পানি না থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। গরু- ছাগল ঝাঁপানো যায় না। পানি সব ময়লা – আবর্জনা ধুয়ে নিয়ে যায়।”

বায়রা গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, “আগে ধলেশ্বরী নদীতে কত রকমের মাছ ছিল। আইর, বাচা, ছিলং আরও কত কি। এখন নদীতে পানি নাই। মাছ নাই। চাষের মাছ খেতে হয়। নদীতে পানি নাই। গরু-ছাগল ঝাঁপানো যায়না। মাঠ থেকে গরুর জন্য ঘাস কেটে নিয়ে আসি সেই ঘাস ধোয়ার পানি নাই। কৃষক খুবই সমস্যায় আছে। নদী খনন না থাকায় এবার বন্যা হয়েছে। কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নদী পানি ধারণ করতে পারলে বন্যা হতো না। তাই নদী খনন করা খুবই দরকার।”

29341250_1182721571858500_731164592_n(1)

ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে[র জাগীর গ্রামের গৃহিনী নাজমা বেগম বলেন, “আগে ধলেশ্বরী নদীতে কত পানি ছিল। এখন নদীতে পানি নাই। আমরা গোসল করতে পারিনা। গা চুলকায়। এই নদী খনন করলে আমাদের অনেক উপকার হবে।”

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরজাগীর গ্রামের ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান, একাত্তর টিভির মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মিহির, যমুনা টিভির প্রতিনিধি বি.এম খোরশেদ, সমাজকর্মী ইকবাল খান, স্যাক এর সভাপতি দীপক কুমার ঘোষ প্রমুখ।

happy wheels 2

Comments