বিশ্ব নদী দিবসে বারনই নদী রক্ষার ডাক
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
“দখল দূষণ মুক্ত প্রবাহমান নদী; বাঁচবে প্রাণ ও প্রকৃতি” শ্লোগানে গতকাল রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি বিএডিসি সাব সেন্টার হল রুমে রাজশাহীর ঐত্যবাহী বারনই নদী রক্ষায় আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বারসিক ও স্থানীয় জনসংগঠন বড়গাছি কৃষক ঐক্যের যৌথ আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভায় বরানই নদী রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন চারবার জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক চাষী রহিম উদ্দিন, বড়গাছি কৃষক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান জুয়েল, বিভাগীয় জয়িতা পদক প্রাপ্ত নারী রহিমা বেগম, বারনই নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জব্বার মিয়া, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসরামসহ বারনই নদী পাড়ের কৃষক, জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী পুরুষ।
অনুষ্ঠানে বারনাই নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য মো. জুয়েল বলেন, “রাজশাহী মেডিকেলের ময়লা আবর্জনা বরানই নদীর পানিকে আরো ভয়াবহ করে তুলছে।” রহিমা বেগম বলেন, “বারনই নদীর জল দুষণ হবার ফলে নারীদের বেশি করে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে নারীরা এই পানি ব্যবহার করার ফলে চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।” কৃষক আব্দুল হক বলেন, “বারনই নদীর জলে বড়গাছি ইউনিয়ন এর আশপাশেই একসময় প্রায় তিনশত একর জমি চাষাবাদ করা হতো। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে কিছু পানির প্রবা থাকলেও তা বারোমাসে থাকে না। ফলে জমিতে ফসল ফলানো যাচ্ছে না।” তিনি আরো বলেন, “দিনে দিনে এই অঞ্চলের পানির স্তর নীচের দিকে যাচ্ছে।”
অংশগ্রহণকারীগণ দাবি করেন অচিরেই বারনই নদী খনন এবং দখল দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মতবিনিময় সভায় বরানই নদী রক্ষায় মানববন্ধন, জেলা প্রশাসকসহ প্রধান মন্ত্রী বরাবার স্মারকলিপি প্রদান, নবীনদের বারনই নদীর ইতিহাস এবং ঐত্যহ্য জানাতে নৌযাত্রাসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মতবিনিময় শেষে সকলের মতামতে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বারনই নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় বড়গাছী ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রায় ৫০ জন নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।