শ্যামনগরে বজ্রনিরোধক লক্ষ্যাধিক তালবীজ রোপণ
সাতক্ষীরা থেকে মননজয় মন্ডল
বজ্রপাত মূলত উচু কোন স্থানে আঘাত করে। এজন্য বজ্রপাতকে রুখতে উচু তালগাছকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতে মৃত্যু তথা জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় তাল গাছই সবচেয়ে কার্যকরী ও বাস্তবিক স্থানীয় পদ্ধতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও বজ্রপাতরোধে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় এক লাখ তালের বীজ বপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত তালবীজ রোপণ কর্মসূচি শুভ উদ্বোধন করেন। পরিবেশবান্ধব এ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয়ও সংস্কার) সচিব এন এম জিয়াউল আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ আলতাফ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, শ্যামনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলীসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, এনজিও প্রতিনিধি, ছাত্র-শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার মন্ডল ও বারসিক কর্মকর্তা মননজয় মন্ডল। উদ্বোধনের সময় বুড়গোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে আড়পাংগাশিয়া ব্রীজ পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে সহ¯্রাধিক নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষেরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাল বীজ বপন করেন। ১৫ ফুট পর পর একটি করে তাল বীজ রোপণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের এই উদ্যোগে বীজ সহযোগিতা করে বারসিক।
তালবীজ রোপণ কর্মসুচি শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার পরিদর্শন ও সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার পরিভ্রমণ করেন।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা ও বজ্রপাত নিরোধক তাল বীজ রোপন একটি সময়োপযোগি পদক্ষেপ। দেশে তালগাছের প্রাচুর্যতা তৈরি হলে বাংলাদেশ সরকারের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে খুব বেশি সহায়ক হবে।