সাম্প্রতিক পোস্ট

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য যদি সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেতাম!

রাজশাহী থেকে রিনা টুডু

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের সমস্যা। এর মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে খাবার পানির সমস্যা। জীবন বাঁচাতে গেলে আমাদের পানির প্রয়োজন রয়েছে। অন্যনো গ্রামের তুলনায় বেশি পানির সংকটে ভোগেন মুন্ডুমালা পাঁচন্দর মাহালী পাড়া গ্রামটি।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে , খরা, তীব্রতাপ দাহ কারণে খাবার পানির সংকট বেড়েই চলছে এই গ্রামে। পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এছাড়াও পুকুরগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে করে গ্রামের মানুষকে অনেক দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। পানি সংগ্রহে নারীরা করেন বলে তারা নানান স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হন। অন্যদিকে পানি সঙ্কট থাকায় গৃহপালিত পশুপাখিদের পুকুরে ময়লা পানি খাওয়াতে হয়। এতে করে গৃহপালিত পশু পাখির বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।

এই পানির সংকট মোকাবিলায় মাহালী পাড়ার নারীরা বৃষ্টি হলেই তাদের বাড়িতে থাকা যতগুলো পানি সংরক্ষণের জিনিস যেমন বড় হাড়ি, বালতি, কলস, জগ মগ, ড্রাম, বোতল, ট্যাংকি এসব জিনিসে পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। এতে করে সংরক্ষণ করা পানি দিয়ে গৃহস্থালি কাজসহ রান্না, গরুকে খাওয়ানো, গোসলের কাজ হয়। তবে সংরক্ষিত এই পানি দিয়ে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনেই শেষ হয়। পানি সংরক্ষণের জন্য বড় ধরনের কোন পাত্র, ড্রাম বা ট্যাংকি না থাকায় বেশি পরিমাণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে পারেন না।

এই প্রসঙ্গে আগাতা কিস্কু (৮০) বলেন, ‘বৃষ্টির পানি হলো সোনার থেকেও দামী। বৃষ্টি হচ্ছে বলেই আমরা পানি সংরক্ষণ করতে পারছি। আর জমির ধানগুলো রক্ষা পাচ্ছে। আমরা বৃষ্টির পানিকে অযথা নষ্ট করবো না, কাজে লাগাবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি বৃষ্টি পানি ধরে রাখার জন্য কোন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ থাকতো তাহলে ভালো হতো। এছাড়া আমরা যদি বড় ধরনের ড্রাম পাই বা ট্যাংকি নির্মাণ করতে পারি তাহলে বেশি পরিমাণ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে পারতাম। এতে করে আমরা এই পানি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারতাম।’

happy wheels 2

Comments