কবে হবে এই সংকটের অবসান?
উপকূল থেকে রুবিনা রুবি
মানুষের চোখে মুখে যেন পানির জন্য হাহাকার। বিগত কয়েকমাস হয়না বৃষ্টি। অত্যাধিক তাপমাত্রায় শুকনো খরখরা উপকূল। কচি চারার ডোগ তামাক পাতার মত পুড়ে যাচ্ছে। ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন বলছে আমাকে একটু পানি দাও। ক্লান্ত পথিকের যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। ধুঁকছে পথের কুকুরগুলো। সবাই যেন চাতকের মত অপেক্ষায় আছে বৃষ্টির। দীর্ঘদিন বৃষ্টির অভাবে উপকূলের প্রতিটা গ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট।
উপকূলের আটুলিয়া ইউনিয়নের হাওয়ালভাংগী গ্রামের মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। নেই কোন পুকুরে পর্যাপ্ত পানি। নেই অনেক বড় পুকুর যদিও বা কিছু আছে তবে বড় পুকুর মালিকেরা যেতে দিচ্ছে না তাদের পুকুরে। ফলে পানির অভাবে ময়লা অপরিষ্কার পানিতে করতে হচ্ছে সবকিছু। হাওয়ালভাংগী গ্রামের রেহানা পারভীন (২৬) বলেন, ‘অন্যর পুকুর থেকে কোন রকম একটা ডুব দিয়ে আসি কাপড় চোপড়গুলো অনেক সময় ধোয়া হয়না। কোন কোন সময় ধুই তাও এক মগ পানি দিয়ে। বাড়ির সবারই একই অবস্থা। সবারই গায়ে চুলকানি দেখা দিয়েছে। পেটের সমস্যা তো আছেই। টয়লেটেও একই অবস্থা অপরিস্কার পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।’ শেফালী আক্তার (২৪) বলেন, ‘পুকুরের পানি কাঁদাগোলা হয়ে গেছে দুই তিন হাত পানি আছে তবুও তাতেই করতে হচ্ছে সব।
হাওয়ালভাংগী গ্রামের প্রতিটা ঘরে এমন পানির জন্য হাহাকার শুনতে পাবেন বলেও জানান অন্যরা। শুধুমাত্র একটা গ্রামেই যে পানির জন্য এমন হাহাকার সেটা নয়; উপকূলের প্রতিটা গ্রামেই এখন তীব্র পানির সংকট। বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টির পানি অনেকে সংরক্ষণ করে রাখলে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার তাও শেষ। আবার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখার মত পাত্র না থাকায় অনেকে সেটা ও পারেনা। তবে বর্তমানে এখন প্রতিটা বাড়িতেই খাবার পানির জন্য গুণতে হয় টাকা। বেশ দূর থেকে আনতে হয় খাবার পানি। চরম পানি সংকটে আছে গ্রামের মানুষেরা। তারা চান পানি সংকট থেকে মুক্তি।
তাই এলাকাবাসীর দাবি, সরকারিভাবে হোক বা যেভাবে হোক পানির ব্যবস্থা পৌঁছে দিক এলাকার সব জায়গায়।