প্রকৃতিকে জানি, প্রকৃতিকে বুঝি- প্রকৃতির সান্নধ্যিে নিজেকে চিনি
নেত্রকোনা থেকে হেপি রায়:
মানুষ সব সময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। দিন রাত একাকার করে সে তার কাজ চালয়িে যায়। তার এই কাজ যনেো শষে হতইে চায় না। সইে চায় সবসময় তার নজিরে ও তার পরবিাররে ভালটা। সইে গুহাবাসী মানুষ যমেন নজিকেে রক্ষা করতে ও বঁেচে থাকার জন্য অন্যদরে হত্যা করতো, খাবাররে জন্য টকিে থাকার জন্য। সইে আদমি চন্তিা হয়তো মানুষরে মধ্যে এখনও ঘুরে বড়োয়। তাইতো আমরা দখেি মানুষে মানুষে আজও ভদোভদে। আজ যে পরস্থিতিতিে আমরা দাড়য়িছেি তা মানুষরে ভোগবাদী চন্তিারই ফসল। আমরা দখেি মানুষ একদিকে যেমন খুবই মানবিক আবার সেই মানুষই দানবের আচরণই করে চলে।
যুগের পরিবর্তন এসেছে বটে, আমরা হয়তো পশুর মতো কাউকে একেবারে মেরে ফেলছিনা। কিন্তু তিলে তিলে ধ্বংস করে ফেলছি তার বেঁচে থাকার অস্তিত্ব। নিজের প্রয়োজনে গাছ কেটে অট্টালিকা তৈরী করছি। জীবন যাপনের সকল সুবিধা হাতের কাছে পেতে চাইছি। ঘরের ভেতর পানির অভাব পূরণের উপাদান থাকবে, এই সুবিধা নিতে গিয়ে নদী-পুকুর-খাল-বিলের পানি শুষে নিচ্ছি। আরো কত কি ! প্রতিনিয়ত নিজের জন্য নিতে গিয়ে প্রকৃতিকে বঞ্চিত করে দিয়েছি। হায়!
গ্রামের মানুষরো অনেক সহজ সরল। তারা জানেন কোন সময়ে কোন কাজটি করতে হয়। এই যে এখন যেমন করোনা সংকট পরিস্থিতি চলছে। এ সময়েও তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। করবে নাইবা কেন ? তাঁদের সুস্থ্য থাকার মতো সকল উপাদান যে কাছেই আছে। এবং এই চর্চা যে তাঁরা এখন করছেন তা তো নয়। এটা তাঁদের অভ্যাসগত চর্চা। নিম পাতা, থানকুনি, গিমাইশাক, হেলেঞ্চা শাক একটু তেতো স্বাদের। কিন্তু এগুলো খেলে পেট ভালো থাকে, হজম শক্তি বাড়ে, রক্ত পরিষ্কার হয়। নিজের আঙিনায় জন্মানো এসকল অচাষকৃত উদ্ভিদ খেয়ে তাঁরা অভ্যস্ত। তাছাড়া গ্রামে থাকা মানুষেরা প্রচুর শুকনো মাছ খায়। শীতের শেষে ও বর্ষাকালে পুকুর, ডোবায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। যেগুলো তাঁরা শুকিয়ে সংরক্ষণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন টক জাতীয় ফল যেমন আম, জলপাই, কামরাঙ্গা ইত্যাদিও শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
আমরা জানি শুটকিতে প্রচুর পরিমানে আমিষ আছে, আর টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি। আবার বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি ভিটামিন সি খেলে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, আরো আছে। কালোজিরা, আদা, তুলসিপাতা ইত্যাদি। আমাদের গ্রামের চাচী ও দাদীরা এখনো ঠা-া বা সর্দি হলে ডাক্তারের কাছে যায় না। তারা নিজেদের অভ্যাসেই তুলসি পাতা, আদা খেয়ে সুস্থ্য হয়ে যান। এছাড়া খাবারের উপযোগ কম থাকলে বা প্রসূতি মায়েদের কালোজিরার ভর্ত্তা তৈরী করে খেতে দেন। এসমস্ত কমদামী, স্বস্তা খাবার খেয়ে এখনো তাঁরা দিব্যি সুস্থ্য আছেন। কারণ প্রতিদিনের নিউজ বুলেটিন দেখলেই বোঝা যায় করোনাতে কারা আক্রান্ত হয়েছেন।
গ্রামের নির্ভেজাল মানসিকতার মানুষগুলোকে আমরা প্রতিনিয়ত অবজ্ঞা করি। কৃষক বলে সম্মান করতে জানিনা। অথচ তাঁরাই যে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন খাবার দিয়ে, প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করে সেটি মানতে চাইনা। তাঁরাই সত্যিকারের গবেষক, বিজ্ঞানী যাই বলিনা কেন। প্রকৃতির রুপ সম্পর্কে তাঁরা জানেন এবং প্রকৃতির পরতে পরতে যে জীবন ধারণের উপাদান লুকিয়ে আছে সেটির ব্যবহার সম্পর্কেও তাঁরা অভিজ্ঞ। তাই এমন একটা সূর্যোদয় হওয়া দরকার যার আলোয় দূর হয়ে যাবে আমাদের সকল সংকীর্ণতা, লোভ, লালসা, দূষণ ও দখল করার মানসিকতা। সকল প্রাণের সহবস্থানের ভেতর দিয়েই শুরু হোক আমাদের স্বপ্নময় আগামীর পথচলা।