কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

মোঃ মতিউর রহমান

বাঙ্গালিয়ানা খাদ্য তালিকায় যেসকল খবারের নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে পিঠা অন্যতম। শুধুমাত্র মুখরোচক খাবার হিসেবেই নয় রবং লোকজ সংস্কৃতি ও শিল্প নৈপুণ্যের অনন্য স্মারক এই পিঠা। অঞ্চল ভেদে পিঠার স্বাদ ও কারুকার্যের ভিন্নতা রয়েছে। পিঠা তৈরিতে নারী সমাজের ভূমিকা সর্বাধিক। তারা তাদের সুনিপুণ দক্ষতার সাথে তৈরি করে থাকেন হরেক রকমের পিঠা।  আমাদের দেশে সাধারণত শীত কালেই নানা রকমের পিঠা বানানোর দৃশ্য চোখে পড়ে।তবে  শিল্পায়নের এ যুগে বাড়ি বাড়ি পিঠা বানানোর সেই দৃশ্য এখন আর খুব একটা দেখা যায় না। যান্ত্রিক সভ্যতার এ সময়ে মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ এবং   জনসম্মুখে  এর পরিচিতি তুলে ধরতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হচ্ছে পিঠা উৎসবের। 

এরই  ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও আয়োজন করা হয়েছিল পিঠা উৎসবের।  বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে পিঠার পরিচিতি  তুলে ধরতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী সংগঠন ভাষা-সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে  এ  পিঠা উৎসবের  আয়োজন করা হয়।

পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আহমেদ মওলা, সহযোগী অধ্যাপক শামসুজ্জামান মিলকী, ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজাউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, প্রভাষক সুমনা আক্তার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দরা।

 

উৎসবে বাংলা বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নানা রকমের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে বাংলা ১২তম আবর্তন ১২ রকমের পিঠা, বাংলা ১৩তম আবর্তন ২৬ রকমের পিঠা এবং ১৪ তম আবর্তন ৫৬ রকমের পিঠা নিয়ে আসেন।  এর মধ্যে  রয়েছে- সুইচ রোল পুলি, চন্দন কাঠ, সুজির মালাই চাপ, ম্যারা পিঠা, নারকেল পুলি পিঠা, দুধ চিতুই, ভাপা পিঠা, ফুলঝুরি পিঠা, সেমাই পিঠা, সাগু রিং, কেক, গোলাপ পিঠা, ডালের পিঠা, পুডিং, দুধ মালাই রিং, দুধ সন্দেশ, নারকেল চমচম, তেলের পিঠা, নারকেল পাকন, নুডলস পিঠা, চুষি পিঠা, সাজের পিঠা পাঠিসাপটাসহ ভিন্ন স্বাদের বৈচিত্রময় পিঠা। উৎসবে প্রায় শতাধিক পদের পিঠার সমাহার দেখা যায়। পিঠার স্বাদ এবং পরিচিত পৌছে  যাক সবার মাঝে এমন প্রত্যাশার মধ্য দিয়েই শেষ হয় এবারের পিঠা উৎসবটি। 

মোঃ মতিউর রহমান, লাইব্রেরি কর্মকর্তা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

happy wheels 2

Comments