এখন আমি আয় করতে পারবো
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
নগরপ্রান্তিক নারীদের কর্মমূখী প্রশিক্ষণ ও আয় সাশ্রয়ী ও আয় বর্ধনমূূলক কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশে বারসিক সম্প্রতি সেলাই প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাধুরমোড়ের এক নগরপ্রান্তিক নারী দর্জি মোছাঃ রিনা খাতুন।
প্রশিক্ষণে নামোভদ্রা বস্তির ১৬ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে মেয়েদের ৭ রকম পোশাক তৈরির কৌশল শেখানো হয়েছে ১২টি প্রশিক্ষণ সেশনের মাধ্যমে।
প্রশিক্ষণপ্রার্থীরা সবাই খুব আন্তরিকভাবে সেলাই প্রশিক্ষণটি গ্রহণ করে এবং কাজগুলো শিখে নিয়েছে। তারা এখন জামা, পাজামা, মেক্সি বানাতে পারছেন। এই প্রসঙ্গে আরিফা বেগম বলেন, “আমি ভেবেছিলাম অনেক কঠিন কাজ কিন্তু শেখার পর অনেক সহজ লাগছে। আমার মেয়ের জন্য পাজামা বানিয়েছি হাতে সেলাই করে। ম্যাডাম বলেছেন সুন্দর হয়েছে, আমার মেয়ে এখন পড়ে ঘুরে বেড়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন একটা সেলাই মেশিন কিনবো টাকা জমা করে। তারপর অর্ডার নিবো জামার। এতে আমার কিছুটা আয়ও হবে।”
নামোভদ্রা কিশোরী ক্লাবের সভাপতি কাজলি খাতুন বলেন, “আমার সেলাই মেশিন আছে কিন্তু পরেই থাকতো কাজ জানতাম না। এখন আমি সেই মেশিনের কাজে লাগাতে পারবো। নিজের পোশাকগুলো বানাতে পারবো। তারপর দক্ষ হলে অর্ডার নিবো।’
উল্লেখ যে, রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তিতে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস করেন। তারা বেশিরভাগই ভাংড়ি কুড়ানোর কাজ করে থাকেন। কেউ কেউ ভিক্ষার সাথেও জড়িত। নারীরা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। বস্তিতে তারা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। বস্তিতে অনেক নারী শিক্ষা এবং কাজে অনেক পিছিয়ে।