অসময়ের বন্যায় সংকটে নেত্রকোণার কৃষি
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাম, নগর ও পাহাড়ের মানুষ। প্রায় প্রতিবছরই নেত্রকোণা অঞ্চলের আগাম বন্যা, আকষ্মিক বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড়, টর্নেডো, শীলাবৃষ্টি, ঠান্ডা, কুয়াশা বজ্রপাত, হট ইনজুরি, কোল্ড ইনজুরি, ধানে ছিটার কারণে কৃষির ক্ষতির সন্মূক্ষীন হন। আমাদের চারদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে, চোখ ধাধাঁনো চাকচিক্যে, ভোগবিসালের জীবনযাপনের অভ্যস্ততায় আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের পরিবেশ, প্রকৃতির সম্পদ। বিলুপ্ত হচ্ছে প্রাণের বৈচিত্র্য, জলাভূমিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই পরিবর্তনের উলটাপালটা পরিস্থিতি ও ক্ষয় থেকে বারবার ঘুরে দাঁড়ায় বাংলার কৃষক, জাগিয়ে রাখেন পরিবার, সমাজ ও দেশ।
অসময়ের বন্যায় ও জলবদ্ধতায় নেত্রকোণা জেলায় হাওর, পাহাড় ও সমতলে আমন মৌসুমে ধানজাত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নেত্রকোণার দশ উপজেলায় কৃষিবিভাগের তথ্যমতে, প্রায় ১৫০০০ হেক্টর আমন জমি তলিয়েছে। অনেক জায়গায় পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যেসব বিল, ডোবায় হাওরে জলাবদ্ধতা হয়েছে সেখানে রোপিত আমন মৌসুমের কৃষকের চাষ করা ধান কৃত্রিম বন্যায় তলিয়ে গিয়েছে। নেত্রকোণার চলমান নদী কংস, সোমেশ্বরী, ধনু, মগড়া, সাইডুলি, বিষনাই, উবদাখালি, মহাদেও এর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই নদী পানিতে ভরে যায়। নদীর সাথে যে খাল দিয়ে সংযুক্তছিলো। মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং মানুষ দখল ও ভরাটের কারণে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পানি চলাচলের রাস্তা নেই। পানি নদীতে নামতে পারছেনা। যার প্রভাব পড়ছে কৃষি জমির উপর। কৃষকের উপর। খাদ্য নিরাপত্তার উপর।
বারবার এইভাবেই কৃষকের যতেœ সাজানো ফলসে আঘাত হানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সময়ে অসময়ে। নেত্রকোণা অঞ্চলে পাহাড়ের সীমান্তে আমন মৌসুম ও সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সীমান্তে পাহাড়ের পরিবেশ ভালো নেই। ভালো নেই সীমান্তের মানুষ।