জলবায়ু জয়ের গল্প
সাতক্ষীরা থেকে শাহীন ইসলাম
জলবায়ু পরিবর্তন। বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত বিষয়। বলা হচ্ছে, জলবাযু পরিবর্তনে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবে ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা ইত্যাদি বিষয়গুলো চিহ্নিত। উপকুল অঞ্চলের প্রধান সমস্যা লবণাক্ততা। এ অঞ্চলের মাটি, পানি, প্রকৃতি ও পরিবেশ ভয়াবহভাবে লবণাক্ততায় আক্রান্ত। গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই) ও ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং যৌথভাবে ‘জয়েন্ট এ্যাকশন রিসার্চ অন সল্ট ওয়াটার ইনট্র্যুশন ইন গ্রাউন্ডওয়াটার ইন দ্য কোস্টাল এরিয়া বা উপকুলীয় এলাকার মাটির নিচের পানিতে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত যৌথ গবেষণা করেছে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গবেষণা করে, ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের ১৪ শতাংশ এলাকার মাটির নিচের পানিতেই মাত্রারিক্তি লবণাক্ততা দেখা দিবে। উপকূলীয় খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার এক হাজার ৫৩৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল উপকুলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার ব্যাপ্তি, অনুপ্রবেশ এবং মাটির নিচের পানির কতটা ক্ষতিসাধন করছে তার পরিমাপ করা। গবেষণায় চিংড়ি ঘেরগুলোতে লবণাক্ত পানির ব্যবহারকেই অগভীর মাটির নিচের পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে চলার প্রধান কারণ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের আরো ২.২৭ শতাংশ এলাকার মাটির নিচের পানি লবণাক্ততার ফলে দূষিত হয়ে পড়বে। আর বিশুদ্ধ পানির অঞ্চলের পরিমাণ কমে আসবে ৩.৪৪ শতাংশ। সম্প্রতি, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অভিযোজন কৌশল মূল্যায়ন শীর্ষক একটি গবেষণা করেছে উপকূলীয় আশাশুনি উপজেলায়। গবেষণায় এ উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসেবে লবণাক্ততা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ ১১টি আপদ চিহ্নিত হয়েছে। তারপরও উপকূলীয় জনপদের স্থানীয় জনগোষ্ঠী নিজেদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শক্তি, সাহস ও সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জলবায়ুকে জয় করেই টিকে আছে প্রজন্মধারায়। উপকূলীয় মানুষের জলবায়ু জয়ের গল্পগুলোর কয়েকটি পাঠকের জন্য তুলে ধরছি:
গল্প-এক
নিরাঞ্জন জোয়ারদার। জলাশয়কে ঘিরে জলবায়ু জয়ের প্রথম গল্পটি বলেন উপকূলের এই প্রবীণ কৃষক। তিনি বলেন, আমার ছোটবলার গল্প আমার নাতিপুতিদের কাছে রূপকথা মনে হয়। আমরা প্রতিদিন দুধ, দই, ঘি, নানান প্রকার দেশী মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি, মিঠা পায়েশ খেতাম। তখন নোনা পানির চিংড়ী চাষ শুরু হয়নি। মাটির নিচে লবণ থাকলেও জমি ছিল লবণমুক্ত।” তিনি জানান, মিষ্টির পানির জলাশয়গুলো ছিল সম্পদের ভান্ডার। গোয়ালে গরু, গোলায় ধান আর পুকুরে মাছ ছিল প্রতি পরিবারের বৈশিষ্ট্য। হঠাৎ ধুমকেতুর মত আর্বিভাব হল চিংড়ি চাষ। রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখল মানুষ। বুঝে হোক আর লোভ লালসায় হোক ধানের জমিতে লবণ পানি তুলে শুরু হয় চিংড়ি চাষ। ধীরে ধীরে কমে আসে সবুজের অংশ। গাছপালা মরে যাওয়া, জমির মাটি ও জলাশয়ের পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া, মাছের বৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়া, এলাকা গবাদিপশু শূন্যসহ জীবনের সুখ শান্তির ধ্বংস শুরু। তিনি বলেন, “আমাদের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে ১১শ’ বিঘা কৃষিজমি ছাড়া বাকি সব লবণ পানির চিংড়ি ঘের। জীবনে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এই ১১শ’ কৃষিজমি রক্ষা করেছি। জমির মধ্যে ছিল একটি মিষ্টি পানির জলাশয়।”
তবে স্মরণকালের ইতিহাসে আইলা জলোচ্ছ্বাস সবকিছু তছনছ করে দেয়। কৃষকরা চোখের সামনে ধানের গোলা, ঘর বাড়ি, সহায় সম্পদ সবকিছু ভেসে যেতে দেখেছেন। সে সময় উপজেলার মানুষ বেঁচে ছিল ত্রাণের উপর। দীর্ঘদিন লবণ পানির জোয়ার ভাটায় ১১শ’ বিঘা ধানের জমির উপর লবণ মাটির আস্তরণ পড়ে যায়। ওই কৃষকরা সময় সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের কাছে তাদের কৃষিজমি, খাবার পানির পুকুর ও ২৪ ফুটের খালকে লবণমুক্ত করার অনেক অনুরোধ কলেও কোন সংগঠনই কর্ণপাত করেনি। সবাই লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত। অথচ ত্রাণের চেয়ে কৃষকদের লবণযুক্ত জমিকে লবণমুক্ত করা বেশি জরুরি ছিলো। আইলার আগে আড়পাঙ্গাশিয়া খালের ১৫৫০ ফুট খনন করা হয়। কিন্তু, আইলায় লবণ পানিতে উক্ত খালটি আবারও ভরে যায়। ২০১১ সালে কৃষকদের অনুরোধে বারসিক ও উপজেলা প্রশাসন খালের লবণ পানি অপসারণ এবং খাল পুনঃখননে সহায়তা করে। মিষ্টি পানির খালটি আবারও প্রাণ ফিরে পাওয়ায় গ্রামের কৃষিনির্ভর জীবনযাত্রার ছন্দ ফিরতে থাকে। ওই বছর বন্যায় শ্যামনগর উপজেলার সমস্ত জমির ধান পাতা পচে নষ্ট হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়বারে আমন ধান চাষ করলে খরায় ধান মরে যায়। শুধুমাত্র খালে মিষ্টি পানি থাকায় প্রায় ২শ জন কৃষক সেচ দিয়ে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে ২৪শ মণ ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হন। নিরাঞ্জন জোয়ারদার বলেন, “খালের লবণ পানি অপসারণ ও পুনঃখননের কারণে কৃষকরা ফসল ফলাতে পেরেছেন। গ্রামের মানুষ আবারও গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করতে শুরু করেছেন। মানুষ খাল থেকে মাছ ধরে খেতে পারছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষিজমি ও ফসল রক্ষা পাচ্ছে”। তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “লবণ পানির আগ্রাসন থেকে প্রাণ ও প্রকৃতিকে বাঁচাতে আসুন সুপেয় পানির প্রাকৃতিক উৎস জলাশয়-খাল-খানা-কনকনা-পুকুরগুলো সংস্কার ও রক্ষা করি”।
গল্প-দুই
ব্যারাক ছিল ধু ধু মরুভূমি। মাটি ছিল প্রচন্ড লবণাক্ত। কোন ঘাস পর্যন্ত জন্ম নিত না। এখন সবুজ আর সবুজ। জলবায়ু জয়ের এই গল্পটি আদিবাসী নারী কৌশল্যা ও বিনোদিনী মুন্ডার। আইলায় নিজেদের ভিটে মাটি ছেড়ে ১০০ পরিবারের নতুন ঠিকানা হয় শ্যামনগর চুনা নদীর চরে তৈরি ব্যারাকে। কয়রা, আশাশুনি এবং শ্যামনগর উপজেলার জেলে, মুন্ডা, কাহার-মুসলিম মানুষের শুরু হয় নিজ দেশে পরবাস জীবন। এখানকার মাটি এত লবণাক্ত ছিল যে ৪/৫ বার ঘাস লাগিয়েও ব্যর্থ হয়। কৌশল্যা মুন্ডারা জানান, চৈত্র মাসে টিন সেডের ঘরে সূর্যের তাপ এবং গরম লবণ মাটির বাতাসে তাদের দম বন্ধ হওয়ার মত। অসুখ বিসুখ এখানের ১০০ পরিবারের পিছু ছাড়ত না। তবে এক পর্যায়ে এ মাটিতেই ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন কৌশল্যারা। সেই স্বপ্ন তাদেরকে দেখান এলাকার অভিজ্ঞ কৃষক সিরাজুল ইসলাম ও কৃষাণী ফরিদা পারভীন। ব্যারাকে বসবাসরত আদিবাসীদের সাথে কথা বলে বারসিক’র কর্মীসহ সিরাজুল ইসলাম ও ফরিদা পারভীনরা কৌশল্যা মুন্ডা বলেন, ‘একদল মানুষ আমাদের মাঝে আসে। আমাদের বসবাসের চারিধার ঘুরে দেখে, মাটি ও পাশের নদীর পানি মুখে দিয়ে পরীক্ষা করে, নদীর ধার ও বসত ঘরের পাশে কি কি গাছ লাগানো যেতে পারে, মাটিকে কৃষি উপযোগি করতে কি কি করা যেতে পারে, সীমিত জায়গার মধ্যে পশুপাখি পালন, মাছের চাষ করা যেতে পারে কি না ইত্যাদি বিষয় দেখার চেষ্টা করেন।” তিনি আরও বলেন, এরপর এসব মানুষেরাই বীজ দিয়ে, জৈব সার দিয়ে এবং পরামর্শ দিয়ে লবণ মাটিকে চাষ উপযোগী করার চেষ্টা করেন আমাদের সাথে। আমাদের চেষ্টা ও তাদের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে মাটির লবণ কমতে থাকে, আমাদের কষ্টও দূর হতে থাকে।”
এরপর থেকে সারাবছর ওই জমিতে আদিবাসীরা শাকসবজি, ধান, মসলা চাষ করেন। বাজারের প্রতি নির্ভর করতে হয় না। এক মৌসুম শেষ না হতেই শুরু হয় আরেক মৌসুমের ফসল চাষের তোড়জোড়। ব্যারাকের চারিধারে তারা আম, জাম, জামরুল, লেবু, ডালিম, নারিকেল, কলা, ছবেদা, আখ, পেয়ারা, আমড়া, মেহগনি, নিম, বাবলা, শিশুসহ বিভিন্ন ফলজ বনজ গাছ রোপণ করেন। এখন আর আগের মত তাদের গরম লাগে না, অসুখ বিসুখও বেশি হয় না। মাসে তাদের ৩ হাজার টাকা বেঁচে যাচ্ছে, যা আগে সবজি, মসলা কিনতে খরচ হত। হাঁস মুরগিসহ অন্যান্য গবাদিপশু পালন করে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ হচ্ছে তাদের। কৌশল্যা মুন্ডা বলেন, “প্রতিদিন পুকুর ও নদী থেকে মাছ ধরে খেতে পাচ্ছি। নিজেদের সখ ও স্বপ্ন পূরণ করছি। ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করছে। আমরা সাবলম্বী। গ্রামের সবচেয়ে সবুজ এলাকা আমরা তৈরি করেছি।” কৌশল্যা মুন্ডারা ত্রাণ চান না, তারা চান প্রাণ। এভাবে দুর্যোগে যোগ হোক একতা ও মনোবল।
গল্প-তিন
গবেষণা বলছে জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যতম প্রভাব নদী ভাঙন। নদী ভাঙন রক্ষায় সবুজ বন সৃষ্টি করে জলবায়ু জয়ের গল্পটি পরিবেশ বন্ধু জাকির হোসেনের। জলবায়ু ঝূঁকিপূর্ণ জনপদ পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের যুবক জাকির হোসেন বলেন,“আইলার দিন শ্বশুর বাড়ি ছিলাম। বাড়ি এসে দেখি ঘর ভেঙে গেছে। পরিবার নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নেয়। তবে একটি ঘটনা আমাকে খুব ভাবিয়ে তোলে। আমি দেখলাম যাদের বাড়ি সামনে চরে ও বাঁধে গাছ ছিল তাদের ঘর বাড়ি একেবারেই ভেসে যায়নি। চিন্তা করলাম যদি আমাদের ইউনিয়নের চারিধারে নদীর চরে ও বাঁধে গাছ লাগানো যায়, তাহলে নদী ভাঙন ও জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পাব।” এই চিন্তা থেকে জাকির হোসেন শুরু করেন গাছ লাগানোর কাজ। ২০১১ সালে কয়রার নদীর চর ও বাঁধে সফল বনায়নের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেন। এরপর প্রথমে তার নিজের বাড়ির সামনে খোলপেটুয়া নদীর দুই কিলোমিটার চর ও বাঁধে লবণ সহনশীল সুন্দুরী, গরান, বাইন, কাকড়া, খলিশা, পশুর, গোল ও কেওড়ার নার্সারি করেন। নার্সারি করে প্রতি বছর গাছের চারা বিতরণ করেন। বাঁধে ঘাস, পরশপেপুল, বাবলা, নিম গাছের চারা রোপণ করেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গাছের যতœ নেন। এলাকার সকলকে নিজ নিজ বাড়ির সামনের নদীর চর ও বাঁধে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। গাছ রোপণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি সরকারি/বেসরকারি সংগঠনের কাছ থেকে গাছের চারা এনে সহায়তা অন্যের মাঝে বিরতণ করেন। তার প্রচেষ্টায় ১৪ কিলোমিটার নদীর চর ও বাঁধ বনায়ন হয়েছে।
তার এ উদ্যোগ, আগ্রহ এবং আন্তরিকতা দেখে অন্য তরুণরাও গাছ রোপণ শুরু করে। এভাবে এক পর্যায়ে শ্যামনগর উপজেলার আঁটুলিয়া, গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৩৫/৪০ কিলোমিটার নদীর চর ও বাঁধে সফল সবুজ বন সৃষ্টি করেছে তরুণরা ও গাছ পাগল মানুষেরা। আইলার পর নদীর চর ও বাঁধে ব্যাপকভাবে বনায়ন করায় উপজেলায় নদী ভাঙন অনেক কমেছে। এই প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, “পরিকল্পনা করে সবাই মিলে কাজ করলে উপজেলার ঝূঁকিপূর্ণ নদীর চর ও বাঁধে উপযোগি গাছের সবুজ বন সৃষ্টি সম্ভব। সিডর, আইলা, মহাসেন ও রোয়ানূর মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রতিনিয়ত বিপন্ন করছে উপকূলীয় জনজীবনকে। আসুন উপকূলীয় বাঁধে লবণ সহনশীল তাল, খেজুর, পরশপেপুল, কদবেল, নিম, বাবলা এবং বাঁধ সংলগ্ন নদীর চরে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির কেওড়া, গোলপাতা, বাইন, কাঁকড়া, খলিশা, গরান, পশুর, হরকোচা গাছ ও ধানি, মেলে, হোগলা ও নলখাগড়া ঘাসের বনায়ন করে রক্ষা করি আমাদের প্রিয় আবাসভূমিকে”।
পরিশেষে বলতে চাই, উপকূল অঞ্চলসহ প্রাণবৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের জলবায়ু জয়ের অসংখ্য গল্প রয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত জলবায়ু নিয়ে আমাদের দেশে যত প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হয়েছে বা হচ্ছে সেগুলোর ৯০ ভাগ প্রকল্পে জনগোষ্ঠীর সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার গল্প খুব কম রয়েছে। আমরা জলবায়ু অভিযোজনে জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশপাশি তাদের জলবায়ু জয়ের গল্পগুলো নতুন প্রজন্মকে জানানোসহ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই।