নারীরা এখনও প্রায় সবক্ষেত্রেই অবহেলিত
মানিকগঞ্জ থেকে কমল চন্দ্র দত্ত ও ঋতু রবি দাস।
‘জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস করি, নারীবান্ধব সমাজ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বারসিক’র উদ্যোগে স্যাক কার্যালয়ে যুব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় বারসিক কর্মকর্তা কমল চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় কর্মসূচির ধারণাপত্র পাঠ করেন প্রকল্প কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার ও মাঠ সহায়ক ঋতু রবি দাস।
বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়ের স্বাগত বক্তব্যের পর আলোচনায় রাশেদা আক্তার শিক্ষার্থীদের মাঝে জেন্ডার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে বলেন, নারী ও পুরুষের সামাজিক যে পরিচয় সাধারণ ভাষায় তাকেই জেন্ডার বলে। একটি মেয়ে শিশু যখন জন্ম নেয় তখন থেকেই তার প্রতি বৈষম্য করা হয়। কন্যা শিশুদের সব দিক দিয়েই অবহেলা করা হয়।’ রাশেদা আক্তার আরও বলেন, ‘মেয়েরা যেন আগে স্বাবলম্বী হয়। স্বাবলম্বী হওয়ার পর যেন বিয়ে করেন। সব ক্ষেত্রেই তাদের নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ, পরিবার কিংবা রাষ্ট্রে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে তার জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।’
বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, আমরা চাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরা সমাজের মূল ¯্রােতধারায় ফিরে আসুক। সেই জন্যে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।’
প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সমাজ, পরিবার সব জায়গায় আজও নারীরা অবহেলিত, তারা নিজেরাই তাদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার সম্পর্কে জানে না। তাদের সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রাখা হয়, তাদের ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়। তাদের সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আসতে হবে।’ বারসিক কর্মকর্তা কমল চন্দ্র দত্ত শিক্ষার্থীদের বহুত্ববাদিতা সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি জানান, সমাজে, পরিবারে সব ক্ষেত্রেই মানুষ একে অপরের নির্ভরশীল।