নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি
মানিকগঞ্জ থেকে ঋতু রবি দাস
“স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, পরিচ্ছন্ন জীবন ও পরিবেশ গড়ি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের বয়োঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবিলায় এবং পরিচ্ছন্নতাসহ নারীবান্ধব শিক্ষাঙ্গন বিনির্মানের লক্ষ্যে মত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল স্কুল প্রচারাভিযান অনুষ্ঠান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ, বারসিক‘র’ প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদা আক্তার, নজরুল ইসলাম, যুব ফেসিলিটেটর রুমা আক্তার এবং প্রকল্প সহায়ক ঋতু রবি দাস।
অনুষ্ঠানের মূল সেশন পরিচালনা করেন রাশেদা আক্তার। তিনি কিশোরীদের বয়োঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের এখানে উপস্থিত সবাই বয়োঃসন্ধিকালীন শব্দটার সাথে পরিচিত, তবে এগুলো বলতে তোমরা লজ্জাবোধ কর। তবে এগুলো সম্পর্কে তোমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে। একটি মেয়ের যখন পিরিয়ড হয়, তখন তোমরা মায়ের কাছে না বলে, তোমার বান্ধবীদের কাছে বলো, আমার কথা হলো, এই ভুলগুলো তোমরা করবে না। এই বিষয়গুলো তোমরা তোমাদের মা বা অন্যকোন বড়জনদের সাথে শেয়ার করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই বিষয়গুলো ৫ম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই দেওয়া আছে। তবুও তোমরা লজ্জার জন্য এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চাও না। নিজেদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাস করতে চাইলে অবশ্যই এই বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি শিক্ষাঙ্গনের টয়লেট অপরিষ্কার থাকে। এই জন্য অনেক শিক্ষার্থীরা সকালে পানি পান করে স্কুলে যায় এবং বাড়িতে এসে পানি পান করে। এতে করে তারা শারীরিক দিক দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থীরা পিরিয়ড এর সময় একটি প্যাড পরেই ৮-১০ ঘণ্টা কাটিয়ে দেয়, এতে করে তাদের যে কতটা ক্ষতি হয় তারা বুঝতে পারে না।’ সহকারি শিক্ষিকা আফরোজা খানম মিলি বলেন, ‘আজ থেকে তোমরা যা যা জানলে এগুলো মেনে চলবে। এই বিষয়গুলো তোমাদের পাঠ্যবইতে আছে, কোন বিষয়ে না জানলে আমাদের কাছে আসবে। আমরা সবসময় তোমাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।’