প্রশিক্ষণ পেয়ে শাক-সবজি চাষে সফল পারুল বেগম

সাতক্ষীরা থেকে ফজলুল হক

শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা সকলের কাছে খুবই পরিচিত একটি জায়গা। ইউনিয়নের চারিপাশে নদী হওয়ায় প্রকৃতিক দূর্যাগে খুবই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় ইউনিয়নের মানুষদের। তবুও ঝু্ঁকির মধ্যেই থেকেও নানান প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর ছিলো। খুবই সুখে শান্তিতে বসবাস করতন তারা। কিন্তু কালের বিবর্তনে সিডর, আইলা, বুলবুল, ফণি, আম্ফান নামক ঘুর্ণঝড়ের কারণে প্রায় সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়েছে। তারপরও নতুন করে প্রাণবৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

গাবুরতে বারসিক পরিবেশ প্রকল্পের পুষ্পকাটি সিএসও দলের সভানেত্রী পারুল পারভীন (৩৪)। স্বামী আব্দুর রহমান মালি(৪৫)। দুই ছেলে আর একটি মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার। তাঁর স্বামী নদীতে মাছ ধরেন আর দিনমুজুরের কাজ করেন। এভাবে তাদের সংসার চলে আসছে। তবে নেটজ বাংলাদেশর সহযোগিতায় বারসিক পরিবেশ প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়ে জলবায়ু সহনশীল কৃষিচর্চা বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়ে পারুল পারভীন আরো ভালো করে নিজ বাড়ি ফসল ফলিয়ে নিজের পারিবারিক চাহিদা পুরণের পাশাপাশি বিক্রয় করে আয় করছেন। বারসিক পরিবেশ প্রকল্প থেকে কিছু শাক-সবজির বীজও পেয়েছিলেন তিনি। যদি তিনি আগে থেকেও কৃষি কাজ করতেন, প্রশিক্ষণ পেয়ে আরো ভালোভাবে করছেন এখন।

বর্তমানে পারুল পারভীনের বাড়িতে কচুরমুখি পুইশাক, ডাটাশাক, ঢেড়স, শসা, ধন্দুল, ঝিঙে, কুমড়া, লাউ, উচ্ছে, বেগুন, পেঁয়াজ, টমেটো, কলমি শাক,ঝাল, সীম, কচু আম গাছ, জাম, পেয়ারা, জামরুল, তেতুল, কলা, ছবেদা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণ পেয়ে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কম করে গর্ত করে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, ছাগলের বিষ্ঠা, বাড়ির ময়লা আর্বজনা থেকে জৈব্ সার তৈরী করে ব্যবহার করছি। আগের তুলনায় শাক সবজিও ভালো হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্যামনগরে কৃষি অফিসে পরিবেশ প্রকল্পের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে,তারা সহায়তা করবে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি কেঁচো কম্পোস্ট সারও তৈরি করবো এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃতিক দূযোর্গের কথা চিন্তা করে নিজ বাড়ি বীজ সংরক্ষণ করে বীজ ব্যাংক তৈরি করবো।’

পারুল বেগমের মত সকলেই কৃষি উন্নয়নে উদ্যোগী হলে পারিবারিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাণ-প্রকৃতি্ও সুরক্ষা পাবে।

happy wheels 2

Comments