সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিশ^জিৎ মন্ডল
প্রতিটি প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। আমাদের চারপাশে আছে নানান বৈচিত্র্যের খাদ্যের সমাহার। কিন্তু সে খাদ্য নানান কারণে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে উঠছে। খাদ্যের মান আর ঠিক থাকছেনা। প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় থাকছে সবজি, ফল, মাছ- মাংস ও প্যাকেটজাতীয় বিভিন্ন খাবার। সেসব খাদ্যের মান ঠিকসহ খাদ্য নিারপদ নিশ্চিৎকরণে সরকারী-বেসরকারীভাবে বিভিন্ন সময়ে নানান কর্মসূচি পালিত হয়।
তেমনিভাবে নিরাপদ খাদ্যের দাবি নিয়ে সাতক্ষীরা অঞ্চলে “সকল প্রানের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য” এই শ্লোগানকে সামনে উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্র, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সিডিও ইয়থ টিম ও বারসিক যৌথভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও গ্রাম পর্যায়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।
এর ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সম্প্রতি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি, সিডিও ইয়থ টিম ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের আয়োজনে এবং বারসিক’র সহায়তায় সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দাবিতে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর ১০০০ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে চিঠি প্রদান শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবির। অন্যদের মধ্যে ছিলো সদরের ইউপি সদস্য দেলোয়ারা বেগম, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক, উপকূলীয় প্রেস ক্লাব, রিপোটার্স ক্লাব, সুন্দরবন প্রেসক্লাব, অনলাইন নিউজ ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, উপজলো জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি, সিডিও ইয়ুথটিম, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম এবং বারসিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ প্রমুখ।
উপকূলীয় সাতক্ষীরা অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ও প্রতিষ্ঠানের নানা পেশার মানুষের ১০০০ পোস্ট কার্ড এর মাধ্যমে মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীর কাছে যে চিঠি লিখেছেন সেই চিঠি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাচ্ছি তার তা যে কতখানি নিরাপদ সেটা নিয়ে ভাবার বিষয় রয়েছে। বিভিন্ন রাসায়নিক সার এবং নানানভাবে তৈরি যে প্যাকেটজাত খাবার খাচ্ছি তা আমাদের দেহের জন্য খুবি ক্ষতিকর। উপকূলীয় অঞ্চলের নানান বৈচিত্র্য ও নানান ধরনের খাবার আছে। এর মধ্যে থেকে আমরা কোনটি গ্রহণ করবো কোনটি করবো না তা জানা দরকার।’ তারা আরও জানান, আজ যে চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটি একটি ভালো উদ্যোগ। বর্তমান সময়ে তো চিঠি আদান প্রদানের কথা ভুলতে বসেছে। সেটি আবারও এই কর্মসূচির মাধ্যমে জানা হলো। এই চিঠি নানান পেশার মানুষের স্বাক্ষর আছে এবং তারা এই তথ্যটি জানতে পেরেছেন। খাদ্য নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। খাদ্যের মান সঠিক রাখা এবং সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিৎকরণের চিঠি প্রদান একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা সকলেই বারসিককে এরকম উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে সকল প্রাণীর জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর কার্যকরী প্রয়োগ করা এবং উপজেলা ও জেলাসহ সব বাজারগুলোতে খাদ্যে ভেজাল রোধে প্রশাসনিক ও আইনি তৎপরতা জোরদার করা এবং সাধারণ জনগোষ্ঠীকে এবিষয়ে সচেতন করতে জোর প্রচারণার সুপারিশ করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীর নিকট জনসাধারণের পাঠানো চিঠির উদ্যোগকে সমর্থন করে আন্দোলনের সাথে থাকার অঙ্গীকার করেন।