
আমরাই পারব নারীবান্ধব সমাজ গড়তে
মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম
‘নারী-পুরুষে বৈষম্য রোধ করি, নারী বান্ধব সমাজ গড়ি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও জাতীয় মহিলা সংস্থার যৌথ আয়োজনে গতকাল মানিকগঞ্জ বিজয় মেলা মঞ্চে বাল্য বিবাহ-নারী নির্যাতন ও সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধে কিশোরী ও নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রীমতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক এম এম ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরে নারী নির্যাতন করে বক্তব্যে নির্যাতনমুক্ত হওয়ার কথা বললে নারীবান্ধব সমাজ হয় না। আমাদের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে। শুধু গ্রামের সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয় না আমাদের মত শিক্ষিত সমাজে ঘরে বাইরে দুজন চাকরি করে সেখানে স্ত্রী বেতন স্বামীর একাউন্টে জমা করতে হয়, আবার অনেক উদার স্বামীও আছে যারা নিজের বেতন স্ত্রীর হাতে তুলে দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন সমাজ চাই যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর স¦াধীনতা থাকে তবেই তিনি গৃহস্থালী কাজে মজুরি না পেলেও স্বীকৃতি পাবে। সরকার ইতেমধ্যে নারীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলো বাস্তাবায়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানাই।’
বিশেষ অতিথি হিসবে বক্তব্য রাখেন স্যাক’র নির্বাহী সভাপতি এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি কাজী শিউলী, প্রভাষক সামসুন্নাহার, প্রভাষক বাসুদেব সাহা, কাজী হুসনেয়ারা, আবুবকর সিদ্দিকী বজলু, নারী উদ্যোক্তা মুক্তা হেলাল, বারসিক কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, শিমুল কুমার বিশ্বাস, মো.নজরুল ইসলাম, রিনা আক্তার প্রমুখ। কিশোরীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সমস্যার আলোকে কথা বলেন বকুল ফুল কিশোরী ক্লাবের সমন্বয়কারি লিমা আক্তার, শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য লিজা আক্তার, বিদিতা চৌধুরী, প্রত্যয় কিশোরী ক্লাবের সুমাইয়া আক্তার যুথি প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি সকলের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে বুকে হাত রেখে প্রত্যয় করান ‘আমরা ঘরে বাইরে নারী নির্য়াতন করব না বাল্য বিয়ে নিজেরা করব না দিব না এবং সহযোগিতা করব না। আমরাই পারব মানিকগঞ্জকে নারী, শিশু-কিশোর-কিশারী নির্যাতনমুক্ত করতে। আমরাই পারব নারীবান্ধব সমাজ গড়তে।’