অচাষকৃত খাদ্য অনেক পুষ্টিকর
রাজশাহী থেকে আয়েশা তাবাসুম
অচাষকৃত খাদ্য তথা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিকে সংরক্ষণ এবং এসব অচাষকৃত খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গ্রামের প্রান্তিক নারীদের অবগত করার জন্য সম্প্রতি বারসিকের উদ্যোগে একটি অচাষকৃত শাকের পাড়ামেলার আয়োজন করা হয়। এই পড়ামেলাতে ২০ জন প্রান্তিক নারী অংশগ্রহণ করেন। বারসিক’ কৃষি কর্মকর্তা অমৃত সরকার মেলায় উপস্থিত থেকে কৃষাণীদের নানান বিষয়ে পরামর্শ তেন।
মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মোসাঃ শরিফন (৩৫)। তিনি ৩৯ প্রকার অচাষকৃত শাক সংগ্রহ ও প্রদর্শন করেন। অচাষকৃত খাদ্যের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করে প্রবীণ নারী গুরফন নেছা (৬৭) বলেন, ‘অচাষকৃত এসব শাকসবজি অনেক পুষ্টিকর। এসব শাকসবজি খেলে অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধান করা যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।’ এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রজাতির শাকের উপকারিতা বর্ণনা করেন। তিনি আক্ষেপ করে জানান, বরেন্দ্র অঞ্চল খরাপ্রবণ হওয়ায় অনেক শাক বিলুপ্তি হয়ে গেছে। আবার অনেকে এসব শাকসবজির উপকারিতার দিক না জেনে ধ্বংস করায় এগুলো আজ বিলুপ্তির পথে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনও অপুষ্টি সমস্যা বিদ্যামান। এ অপুষ্টিজনিত সমস্যায় অনেকেই নানান রোগে যেমন রাতকানা, রক্ত স্বল্পতা, শিশুদের ওজন হ্রাস ও বিকলঙ্গতায় ভোগেন। গ্রামের অধিকাংশ নারী ও শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গ্রামই হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য ভান্ডারের প্রধান উৎস। অচাষকৃত অনেক শাক বাংলাদেশে বিদ্যামান আছে যে শাকের স্বাদ অনন্য এবং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।