পরনির্ভরশীলতা বৈষম্য এবং নির্যাতন বাড়ায়
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে বিউটি সরকার
‘সবাই মিলে ভাবে নতুন কিছু করো, নারী পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জামালপুর মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক-কৃষাণী সংগঠন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থা সিংগাইর উপজেলা শাখার চেয়ারম্যান শাহিন আক্তার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক কৃষক কৃষাণী, শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নারী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন বারসিকের প্রোগ্রাম অফিসার শিমুল কুমার বিশ্বাস। এরপর নারী দিবসের ধারণাপত্র পাঠ করেন সিংগাইর মহীদ রফিক যুব সেচ্ছাসেবক টিমের আহবায়ক আশীষ সরকার। নয়াবাড়ি গ্রামের জীবন সংগ্রামী নারী কমলা বেগমের সফলতার কাহিনী উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে নারী দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহিন আক্তার বলেন, ‘পরনির্ভরশীলতা বৈষম্য এবং নির্যাতন বাড়ায়। তাই যার যার অবস্থানে থেকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে আমাদের। আর বৈষম্য ও নির্যাতন দুর করতে হলে কন্যা শিশুর প্রতি যত্নবান হতে হবে। সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ দুর করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষা অর্জনের ভেতর দিয়ে যে জ্ঞান অর্জন হয় তা দিয়ে আমরা দেশটাকে সুন্দর করতে পারি কিন্তু সংসারকে সুন্দর করে একজন নারী।’ তিনি সুবিধা বঞ্চিত নারীদের তথ্য অধিকার আইন নেওয়ার জন্য তথ্য আপা প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।
কমলা বেগম বলেন, ‘আজ আমার খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাতোন লাগে না। অথচ একদিন ছিল খাবারের চিন্তায় আমার বাড়ি বাড়ি ঘোড়া লাগত। অনেক বাধা পাইছি জীবনে। সব বাধা আমি জয় করবার পারছি। কেননা আমার চেষ্টা ছিল।’
অনুষ্ঠানে নারী জীবনের বাধাগুলোকে চিহ্নিত করে তা থেকে নারী জীবনের অন্ধকার দুর করার প্রচেষ্টা স্বরূপ প্রতীকি হিসাবে মোমবাতি প্রজ্জ্রলন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় নারী দিবসের অনুষ্ঠানে। এই প্রতিযোগিতায় ২৪ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নারীরা তাদের জীবনের সকল বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।