সাংস্কৃতিক চর্চা বিকশিত করতে ঋতুরাজ বসন্তের আহবান
মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম
‘ঋতুরাজ বসন্তে সম্প্রীতির মালা গাঁথি, বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক চর্চা করি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলে বকুল ফুল কিশোরী ক্লাব ও শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমের আয়োজনে ও বারসিক’র সহযোগিতায় বারসিক সিংগাইর রিসোর্স সেন্টার মিলনায়তনে আজ পহেলা ফাল্গুন ১৪২৮ উপলক্ষে সমাজে সাংস্কৃতিক চর্চায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বকুল ফুল কিশোরী ক্লাবের সভাপতি মহুয়া আক্তারের সভাপতিত্বে ও শহীদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক টিমের সম্পাদক প্রভাষক প্রদীপ কুমার হালদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস, মো. নজরুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান প্রমুখ। প্রবন্ধ পাঠ করেন বারসিক প্রকল্প সহায়ক আছিয়া আক্তার ও রিনা সিকদার।
ভাষার মাস ও বসন্তদিনের গান পরিবেশন করেন লেখক ও গীতিকার অনুরুপা আইচ, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার,শ্যামল বিশ্বাস,বিউটি রানী সরকার, বর্নিলা দত্ত মোনা, অন্দ্রিলা দত্ত লিছা,অঙ্কন সরকার প্রমুখ।
আজ পহেলা ফাল্গুন ১৪২৮। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। এত রূপ, রস, আর লাবণ্য নিয়ে প্রকৃতিতে আর কোনো ঋতু হাজির হয় না। তাই বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। শীতের রুক্ষ, হিমেল দিনের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুল বসন্তকে করে তুলেছে ‘বিশেষ ঋতু’। বাংলাদেশে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে যে দিনগুলোকে ধরা হয়, তার মধ্যে পহেলা ফাল্গুন একটি। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নির্বিশেষে এই দিনটি উৎযাপন করেন। বিশেষ করে শহুরে জীবনের জরা-জীর্ণতা দূর করতে এ দিনটি অনুষঙ্গ হিসেবে থাকে। মূলত কিশোর ও তরুণরা পহেলা ফাল্গুন বিশেষভাবে উদযাপন করে। ১৫৮৫ সালে মোঘল সম্রাট আকবর ১৪ টি উৎসবের প্রবর্তন করেছিলেন। যার মধ্যে একটি ছিল ‘বসন্ত উৎসব’। এরপর ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ শুরু হয়। যেটি প্রতি বছরেই নতুন সজ্জিত হয়। প্রচলিত আছে, বসন্ত খতুতে প্রকৃতির বসন পাল্টায়। আগামী বছর কেমন যাবে তার নাকি আঁচ পাওয়া যায় বসন্তের রূপ দেখে। তবে মানুষ আশাবাদী। স্বপ্ন দেখা মানুষের ধর্ম। ‘মধুর বসন্ত এসেছে, মধুর মিলন ঘটাতে’ কবিগুরুর এই গানের মতো বসন্ত যেন মানুষে মানুষে মেলবন্ধন দৃঢ় করতে পারে, মধুর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়াতে পারে- বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক চর্চাকে বেগবান করতে পারে। এটাই হোক বসন্তের আহবান।