শখের হাড়ি: বিলীনের পথে একটি ঐতিহ্য

বরেন্দ্র অঞ্চলসহ ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশের যত শিল্প রয়েছে তার মধ্যে মাটির তৈরি শিল্প অন্যতম এবং প্রাচীন শিল্প। মানুষ খাবার যখন থেকে খাওয়া শিখলো বা অন্য অর্থে বললে মানুষ যখন থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংরক্ষণ করা শিখলো তখন থেকেই মৃৎ শিল্পের উৎপত্তি । বাংলাদেশের মৃৎশিল্পের মধ্যে শখের হাড়ি অন্যতম একটি শিল্প। আর শখের হাড়ির কথা আসলেই নাম আসবে রাজশাহী বিভাগের বাগধানী পাল পাড়ার স্থানীয় শখের হাড়ি নির্মাতা ও ব্যবসায়ী সুশান্ত কুমার পালের নাম। গত ২৮ জুন ২০১৬ বারসিক নিউজের সাথে কথা হয় সুশান্ত কুমার পালের। উক্ত আলাপের ভিত্তিতেই নিচের লেখাটি তৈরী করেছে মোঃ এরশাদ আলী।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ঐতিহ্যগতভাবে খুব বেশি পরিমাণে মাটির বাড়ি ঘর ছিল। মাটির ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ কাপড় রাখার জন্য ব্যবহৃত হত এই শখের হাড়ি। এখনকার মতো পূর্বে বাড়িতে আসবামপত্র খুব কম ব্যবহৃত হতো। পাটের দড়ি দিয়ে তৈরি ছিকায় করে মাটির বাড়ির ভেতরের অংশের চারিদিকে সাজিয়ে রাখা হতো শখের হাড়ি। মূলত এই সব শখের হাড়িগুলোতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এমনকি কাপড়ও রাখা হতো। বর্তমানে মাটির ঘরের বদলে স্থান করে নিয়েছে ইটের ঘর বা টিনের ঘর। আর শখের হাড়ির বদলে ঘরে স্থান করে নিয়েছে কাঠ, স্টিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। মানুষজন প্রতিনিয়ত গাছ কেটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র তৈরি করছে।

20160628_124125
সুশান্ত কুমার জানান, বিয়াই বিয়াইন বাড়িতে মিষ্টি নেবার কাজে পূর্বে শখের হাড়ি প্রচূর ব্যবহৃত হতো। কোন বাড়ি থেকে কত বেশি শখের হাড়িতে পিঠা, মিষ্টি বা অন্যান্য উপাদান নিয়ে যাবে সেটার উপর নির্ভর করতো ওই বাড়ির মান মর্যাদা। আগে তো আর রসগোল্লা, চমচম এইগুলো ছিল না। বিভিন্ন পুলি পিঠা রসের হাড়িতে ভরে বিয়াই বিয়াইন বাড়িতে নিয়ে যেত। আর এখন তো মোড়ে মোড়ে মিষ্টির দোকান তৈরি হয়েছে। কাগজের প্যাকেটে করে মিষ্টি নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, “বরেন্দ্র অঞ্চলে একসময় প্রায় ৪৫০০ পরিবার শখের হাড়ি তৈরি করতো। বর্তমানে রাজশাহী বিভাগে একমাত্র আমি এবং আমার পরিবারই এই কাজের সাথে জড়িত আছি। পরিবারগুলো কেন তৈরি করবে বলুন, তারা তো এগুলো তৈরি করে প্রকৃত শ্রমের মূল্য পাচ্ছে না। সবার তো আর দেশ বিদেশের মেলায় বা অন্য কোনভাবে বিক্রি করা সম্ভব নয়। আমাদের গ্রামের আশেপাশে কতোই আর বিক্রি হয় বলুন।”

সুশান্ত কুমার আরও বলেন, “আমি নিজেও টিকে আছি বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করে। গত ৩৪ বছর ধরে মেলা করছি। সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে এক মাস, বাংলা একাডেমিতে ১০ দিন ছাড়াও চ্যানেল আই মেলা, শিশু একাডেমি মেলা, জাতীয় জাদুঘরের মেলা, কারুশিল্প পরিষদ মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করি। এই সব মেলাতে অংশগ্রহণ করে কোন রকম পণ্য এবং নিজের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে পারছি।” তিনি জানান লোকশিল্পের এক মাসের মেলার মধ্য দিয়ে ৫ থেকে ৬ মাস টিকে থাকা যায়। আর অন্য সব মেলার মধ্য দিয়ে ৫ থেকে ১০ দিন টিকে থাকা যায়’’।

মেলায় অশগহণ প্রসঙ্গে সুশান্ত কুমার আক্ষেপ করে বলেন, ’’কি বলবো ভাই মেলা তার নিজের জায়গা ছেড়ে শহরে চলে গেছে। গ্রামের মেলাগুলোতে অংশগ্রহণ করলে টাকা কম খরচ হত, বিক্রিও বেশি হত। যেহেতু বর্তমানে মেলা শহরে চলে গেছে। শহরের মেলায় অংশগ্রহণের খরচ বেশি। বিক্রিও কম হয়। শহরের মানুষজন শুধু ঘর সাজানোর জন্য বা শখের বসে শখের হাড়ি ক্রয় করে। আগের মতো কেউ প্রয়োজনে ক্রয় করে না। আর তাছাড়া শখের হাড়ির বড় একটি যায়গা দখল করেছে প্লাস্টিক পণ্য’’।

তিনি বলেন, ’গ্রামেগঞ্জে বর্তমানে মেলা হয় না তা নয়। দুই ঈদ ও চরক কিংবা দূর্গা পূজায় মেলাতে অংশ গ্রহণ করি। আগে গ্রামে গ্রামে অনেক মেলা হত। যেমন বরেন্দ্র অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মেলা ছিল বর্ণির মেলা। এই মেলায় আমি ছোট বেলায় দেখতাম দাদু নৌকায় করে শখের হাড়ি নিয়ে যেত। নিচে নদীতে নৌকায় বিক্রি হত শখের হাড়ি আর উপরে ডাঙ্গায় বিক্রি হত মিষ্টি আর মুড়কী। সারাদিনে নৌকার সকল শখের হাড়ি বিক্রি হয়ে যেত। মেলায় নতুন বউ-জামাই বেড়াতে আসত। বউ জামাইরা রসের হাড়ি কিনে ডাঙ্গা থেকে মিষ্টি কিনে তা বাড়িতে নিয়ে যেত। অনেকে ঢাকি ভরে শখের হাড়ি বাড়ি নিয়ে যেত’।

বরেন্দ্র অঞ্চলে নদী শুকিয়ে যাওয়ার ফলে নৌকা যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর মেলাও নেই নৌকাতে যোগাযোগও নেই। ফলে এই ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বর্ণির মেলার মতো আরো কিছু মেলা এই এলাকায় হত যা এখন আর হয় না । এমন কিছু মেলা হলো রঘু নাথের মেলা, নিমতলী মেলা, পরশুর মেলা প্রভৃতি। অনেক মেলার মধ্যে আরেকটি মেলা হলো ভাসান যাত্রা উপলক্ষে মেলা। বরেন্দ্র এলাকায় ভাসান যাত্রা উপলক্ষে মুখোশ খেলা হত। এই যাত্রা উপলক্ষে সেখানে মেলা বসত। এই মেলায় প্রচুর শখের হাড়ি বিক্রি হত। মেলা চলাকালীন সময়ে ডাকাতি বা চুরি বেড়ে যাওয়ায় সবাই মনে করতে থাকলো ভাসান যাত্রার লোকজন এই চুরির সাথে জড়িত। ফলে আস্তে আস্তে মেলা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে ভাসান যাত্রাও নেই, মেলাও নেই আর শখের হাড়ির বিক্রিও নেই। বর্তমানে শখের হাড়ি একটি হারানো পণ্যে রূপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে বাংলা একাডেমিতে কিছু শখের হাড়ি দিয়ে আসলেন বলে জানান সুশান্ত কুমার পাল। সেগুলো সেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সুমান্ত কুমারের যুক্তি মতে, ‘প্রচলিত পণ্য হলে তা নিশ্চয় সংরক্ষণ করা হতো না’।

তবে সুশান্ত কুমার মনে করেন, এতকিছুর পরেও শখের হাড়ি কখনও হারিয়ে যাবে না। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘একটি উদাহরণ বলি আপনাদের এই যে গাজীর পট চিত্র আমাদের বাংলার ঐতিহ্যগত একটি পটচিত্র। হাজার হাজার বছর ধরে এই পট চিত্র বেঁচে আছে। আমি যে কাজটি করছি অর্থ্যাৎ শখের হাড়িও হারাবে না। শুধুমাত্র মাত্রাগত জায়গাটি পরিবর্তন ঘটবে। আমি শিখেছি দাদুর কাছ থেকে। আমার দুই সন্তারে মধ্য দিয়ে আমি শখের হাড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। স্বর্গীয় শূম্ভ আচার্য্য এর কাছ থেকে আমি শিখেছিলাম। আচার্য্য বেঁচে নেই কিন্তু তার কাজ আমার মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে’।

তিনি বলেন,‘তবে এটা ঠিক যে শখের হাড়ি টিকিয়ে রাখবার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের ইচ্ছাও থাকতে হবে। আমার সন্তান হয়তো ইচ্ছা পোষণ করেছে বলেই তারা টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু পালদের মধ্যে বর্তমানে বেশিরভাগ যুবকরা এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আর আগ্রহ হারাবে নাইবা কেন। বাজারে শখের হাড়ির চাহিদা না থাকাসহ এর যে সব জায়গাতে ব্যবহার ছিল তার বিকল্প পণ্য বাজারে চলে এসছে। তাছাড়া বাজার এখন চলে গেছে অশিল্পী ব্যবসায়ীদের হাতে’।

শখের হাড়ির তৈরির জন্য মূল যে কাঁচামাল মাটি তা বাগধানী পালপাড়ার পালেরা সংগ্রহ করত পাশের ডুবি বিল থেকে। বিলগুলো বর্তমানে প্রভাবশালী মানুষজন দখল করে ধান চাষ বা মাছ চাষের ফলে সেখান থেকে আর মাটি সংগ্রহ করতে পারছে না। এর পরে তারা পাশের নদী শিব বর্ণি (বার্ণাই) অথবা পুকুর থেকে মাটি সংগ্রহ করছে। এছাড়াও গ্রাম থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে সুন্দরপুর নদী থেকে মাটি সংগ্রহ করতো। কিন্তু নদী দখল করে নর্দী তীরবর্তী মানুষজন ধান চাষ শুরু করে দিয়েছে। এখন তাদের একমাত্র নির্ভর পুকুরের মাটি। আশেপাশে যখন মানুষজন পুকুর খনন করে তখন তার কাছ থেকে মাটি ক্রয় করে আনতে হচ্ছে। পূর্বে শখের হাড়ি বিক্রি করার জায়গা ছিল প্রচূর। মাটি ক্রয় করতে হতো না। বর্তমানে মাটি ক্রয় করে শখের হাড়ি তৈরি করে বিক্রি করার কোন জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই শিল্প লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। আর তাছাড়া জ্বালানি একটি বড় বিষয় যার সহজলভ্যতার সাথে এই শিল্পের একটি সম্পর্ক বিদ্যমান। পূর্বে জ্বালানিগুলো বন জঙ্গল বা মানুষের বাড়ির গাছ থেকে সংগ্রহ করা হত। কিন্তু বর্তমানে আগের তুলনায় গাছ কমে যাওয়া এবং পরিবারভিত্তিক জ্বালানি সংগ্রহ করতে না দেওয়ার ফলে পুরো জ্বালানিই ক্রয় করতে হচ্ছে।

সুশান্ত কুমার পাল বলেন,‘মাটি সংগ্রহের একটি জায়গা দখল হলে আমরা অন্য জায়গাতে চলে যাচ্ছি। এমন সমাজে বাস করি ভাই আমাদের গ্রামের পাশে মৃত সৎকারের জন্য শ্মশান ছিল। কোন যায়গা না পেয়ে শ্মশানের মাটি দিয়ে শখের হাড়ির কাঁচামাল সংগ্রহ করতাম। সেই শ্মশানটিও এখন দখলে রয়েছে ফলে কাঁচামাল তো দূরে থাক মরা মানুষ পুড়ানোর জন্য জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে মৃত সৎকারের জন্য রাজশাহীর পঞ্চপূঠী এলাকায় যেতে হচ্ছে’।

সাত বছর বয়স থেকে দাদু ভূবনেশ্বর কূমার পাল এর হাত ধরে সাত পুরুষের শিল্প চর্চা শুরু করে সুশান্ত কুমার পাল। সেই সাধারণ ছেলেটি আজ পালদের মধ্যে অসাধারণ হয়ে উঠেছে। তিনি এখন পর্যন্ত দক্ষ পুরষ্কার পেয়েছে ৭টি, উদ্যোক্তা পুরষ্কার ৮টি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরষ্কার ২টি পেয়েছে। বৈশাখ মাস আসলে এমন কোন মিডিয়া নেই যারা তার বাড়িতে আসে না। সুশান্ত কুমার পাল বলেন,‘এতে আমি কিছু বিব্রতও বোধ করি আবার খুশিও হই কারণ আমার একটি সুপ্ত বাসনা পূর্ণ হয়। আমার কথা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানানোর মধ্য দিয়ে এই শিল্পের এক ধরনের প্রচার ঘটবে আর প্রচার ঘটলে চাহিদা বাড়বে আর চাহিদা বাড়লে বাজার সৃষ্টি হবে। বাজার সৃষ্টি হলে আরো নতুন করে আমাদের নতুন প্রজন্ম আগ্রহী হবে শখের হাড়ি তৈরি করার জন্য। আরেকটি কথা আমরা তো পা খোরা মানুষ। কোন দলীয় বল নেই যা ব্যবহার করে নিজেদের এই সব সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আপনাদের জানানোর মধ্য দিয়ে সরকারি বা বেসরকারি কোন উদ্যোগ তৈরি হবে যা পাল সমাজের মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে’।

উদ্যোগ এবং শিল্পকে টিকিয়ে রাখার প্রসঙ্গে সুশান্ত  কুমার পাল বলেন, ‘আমি একলা একজন শখের হাড়ির বিখ্যাত শিল্পী হব আর অন্য কেউ হবে না তা তো হবে না। আমাদের মধ্যে একটি দল তৈরি করা দরকার যে দল আমাদের সকল সমস্যা নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আমি আবারও বলবো শখের হাড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র উপায় হলো পালদের নিজস্ব ইচ্ছা। একসময় রাজশাহীতে কারুশিল্প মেলায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার খুব মনে আছে প্রথমবার মেলায় মাাত্র ৭দিনে একটি শখের হাড়ি বিক্রি হয়েছিল। আমি কিন্তু দমে যাইনি। দমে যাইনি বলেই আমি এতগুলো পুরষ্কার পেয়েছি’।

শখের হাড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে, সরকারের কাছে, পালদের কাছে এবং সর্বোপরি যারা এই শিল্প নিয়ে ভাবেন তাদের কাছে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো তুলো ধরেন সুশান্ত কুমার পাল-

  • আমার কথা হলো পাল সমাজের যুবকরা তোমরা এগিয়ে আসো। নিজের সমাজের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিজেদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি আমরা এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে না রাখি তবে পৃথিবী থেকে একটি ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাবে। আর তোমরা তো জানো ’বাপ বেটায় কামার আর ছায়ে পুয়ে কুম্ভকার’। সুতরাং সবাই মিলে কাজ না করলে এই শিল্প টিকবে না।
  • বর্তমানে বাজার চলে গেছে শহরে। ঢাকার দোয়েল চত্বরে এই শিল্পের ব্যবসা এখনও টিকে আছে। তবে শখের শিল্পের ব্যবসা চলে গেছে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের দখলে। আমার মনে হয় শখের শিল্পীদের দখলেই যদি এই শিল্পের ব্যবসাটি থাকে তবেই শিল্পটি বেশি দিন টিকে থাকবে। কারণ তারা এর কদর বুঝবে।
  • এখন যারা ছোট যারা স্কুলে পরে তারা জানে শখের হাড়ি কি! কারণ শখের হাড়ি সম্পর্কে তাদের পাঠ্যপুস্তুকে পড়ানো হয়। অন্যদিকে আমরা দেখি এইসব শিশুদের বাবা-মা রা শখের হাড়ির বিষয়ে জানেনা। এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখার জন্য আমার মনে হয় আরো বেশি মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে, ফলে বাজার তৈরি হবে।
  • যদি এই শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয় তবে এর মাধ্যমে অনেক মানুষের কাছে শখের হাড়ির প্রচার ও বিক্রি বাড়বে। আর বিক্রি বাড়লেই এই শিল্প টিকে থাকবে বলে আমি মনে করি।
happy wheels 2

Comments