শান্তির জন্য দরকার সক্ষমতা বৃদ্ধি

শান্তির জন্য দরকার সক্ষমতা বৃদ্ধি

 

DSC00616গত ২ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে ’’শান্তির জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি: সুশীল সমাজের উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারি কর্মকান্ডের সমন্বয়’’ শীর্ষক একটি গোল টেবিল আলোচনা সম্পন্ন হয়। বারসিক’র উদ্যোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিজিটাল কর্নারে এই সংলাপটি আয়োজিত হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক পত্রদূত এর সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল আহসান, জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাষ চক্রবর্তী, কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, সেফার ওয়ার্ল্ড-বাংলাদেশ। এছাড়াও গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু,সাতক্ষীরা সদর উপজেল্ ানির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ আব্দুল সাদী, অধ্যাপক নিমাই ম-ল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ এর বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর এমদাদ হোসেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরিসহ আরও অনেকে। এই সংলাপে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্যগুলো হুবহু এখানে তুলে ধরেছেন শেখ তানজির আহমেদ

বিভাষ চক্রবর্তী

কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, সেফার ওয়ার্ল্ড

শান্তি এবং ন্যায় বিচার একই সাথে চলে এবং এই দুইয়ের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের ভূমিকা রয়েছে। শান্তি না থাকলে ন্যায় বিচার সম্ভব নয়। আমরা সাতক্ষীরাকে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় দেখতে চাই। এজন্য জন্য প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিকসহ সকলের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী।

নাজমুল আহসান

জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা

শান্তির জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসাঙ্গিক। শান্তির ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা জরুরি। এখানে ঘটনার আগে ও ঘটনার পরে দুটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। সমাজে শান্তি ভঙ্গের আশংকা দেখা দিলে সাথে সাথে পুলিশকে জানালে শান্তি রক্ষা হবে। আমরা সবাই শান্তি চাই। তারপরও অশান্তির সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু অতি শিক্ষিত ব্যক্তির কারণেও শান্তি ভঙ্গ হতে পারে। সাতক্ষীরার মানুষ সহজ, সরল ও শান্তিপ্রিয়। এখানে অশান্তির কোনো কারণ দেখি না। শান্তি রক্ষায় পুলিশ পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়। বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা শান্তিভঙ্গের কারণ হতে পারে। আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আছে। সিভিল মামলাগুলো জটিল। জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে শান্তি ভঙ্গ হতে পারে। গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যানরা যদি সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে শালিস মীমাংসা করেন তাহলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি মানুষকে কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। আইনের প্রয়োগ, আইনের সংস্কার, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দেশ প্রেম ও মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে পারলেই শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা হবে। রাতারাতি হয়তো পরিবর্তন হবে না। পরিবর্তনে সময় লাগবে। তবে পরিবর্তন হচ্ছে। ব্যক্তিগত চর্চার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মানুষই পারে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে দেশ ও জাতি গড়তে।

নজরুল ইসলাম

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা

শান্তির লালিত বাণী কেউ আমাদের শোনালে আমরা তা শুনবো এমনটি নয়। আইনের শাসন বাস্তবায়ন ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার অবসান হতে হবে। অনেক বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে জনগণ সাধারণ মানুষের কথা শোনে না। কিন্তু পুলিশ বললে শোনে। প্রশাসনে বিভিন্নভাবে দুর্নীতি হয়। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে, হয়রানি হয়। যে কারণে অশান্তির সৃষ্টি হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মূল্যবোধকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শান্তির পক্ষে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। শান্তির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। হিংসা-হানাহানি বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। “রাজনৈতিক কমিটমেন্ট” রক্ষা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ শান্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

আসাদুজ্জামান বাবু

চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, সাতক্ষীরা সদর

সমাজ ব্যবস্থা ঠিকই আছে। অভাব মূল্যবোধের। মূল্যবোধ না ফিরলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। ফেইসবুকের কারণে নানা অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। দৃষ্টিভঙ্গির কারণে একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। ২০১৩ সালের পর আমাদের মধ্যে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ দূরত্ব কমাতে হবে। সকলের মতামতের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা হবে।

শাহ্ আব্দুল সাদী,

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাতক্ষীরা সদর

আমরা নষ্ট প্রহর কাটাতে চাই না। আমরা শান্তির প্রহর কাটাতে চাই। যুদ্ধের প্রস্তুতি যুদ্ধকে বিলম্বিত করে। শক্তির সাথে শান্তি যুক্ত। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে শক্তির প্রয়োগ করা লাগতে পারে। ভূমি আইন সম্পর্কে জানা অতি জরুরি। জনস্বার্থ বিরোধী-পরিবেশ-বিরোধী, কোনো বিষয়ের সাথে কম্প্রমাইজ করা যাবে না। সরকারি সেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। সেবার ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। পরিশেষে “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”। এ কামনা করি।

নিমাই মন্ডল

ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক

লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি বাস্তবায়নের সময় এসেছে। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় কোথায় কখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রগতির পথ খুঁজে বের করতে পারলেই উড়বে শান্তির পায়রা।

শেখ আজহার হোসেন

সভাপতি, জেলা জাতীয় পার্টি

বর্তমানে আমরা রাজনৈতিক সহাবস্থানে আছি। ২০১৩ সালের পর কিছু ঘটনার কারণে আমরা জাতির কাছে নত হয়ে আছি। ব্যতিক্রমকে যদি আমরা উদাহরণ হিসেবে নেই তাহলে তা আমাদের জন্য লজ্জাস্কর। সাতক্ষীরায় গোষ্ঠীগত কোন দ্বন্দ্ব নেই। রাজনৈতিক সহিংসতা নেই। আমরা অতীতের কলঙ্কজনক অধ্যায় থেকে বেরিয়ে আলোর পথে হাটছি। দেশের অনেক জেলা থেকে আমরা ভালো আছি। শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে কাজে লাগানো উচিত বলে আমি মনে করি।

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল

সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব

শান্তি রক্ষায় রাজনৈতিক কমিটমেন্ট রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন কমিটিতে শুধু দলীয় লোক না রেখে সর্বদলীয় লোক রাখতে হবে। সব দলের সমন্বিত উদ্যোগই পারে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিতে। ধর্মীয় চিন্তা চেতনা আলাদা থাকতে পারে। কিন্তু সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। গ্রামে গ্রামে শান্তির জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। মানুষের মধ্যে অহিংস মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।

এমদাদ হোসেন,

ইন্সপেক্টর, বিশেষ শাখা, জেলা পুলিশ, সাতক্ষীরা

ধর্মীয় অপব্যাখা দিয়ে ২০১৩ সালে সাধারণ মানুষকে দিয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। তবে এখন বাংলাদেশের যে কোনো জেলার চেয়ে সাতক্ষীরার মানুষ অনেক বেশি শান্তিতে আছে। এক সময় আন্ডার গ্রাউন্ড দল থাকলেও এখন তারা নেই। দেশের মধ্যে সাতক্ষীরায় যত বেশি পরিমাণ খাস জমি আছে, সে তুলনায় দ্বন্দ্ব সংঘাতের হার খুবই কম। নরসিংদী জেলায় খাস জমির পরিমাণ খুবই কম এবং মাদারীপুরে খাস জমি নেই বললেই চলে। অথচ এসব জেলার দ্বন্দ্ব সংঘাত অনেক বেশি। শান্তি শৃঙ্খলায় দলনেতার ভূমিকা অনেক বেশি। একজন ব্যক্তির সদিচ্ছাই পারে একটি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিরে আনতে। পুলিশ জেলার ৭৮টি ইউনিয়নকে ৪৪টি বিটে ভাগ করে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। পুলিশি সেবা জনগণের দোর গোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, দেশের প্রত্যেকটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হলে শান্তি-শৃৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

সুভাষ চৌধুরী

জেলা প্রতিনিধি, যুগান্তর ও এনটিভি, সাতক্ষীরা

১৯৭৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার শতাধিক রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে। ২০১২ সালে যতগুলো হত্যা হয়েছে তার অর্ধেক নারী। খাস জমি নিয়ে এ জেলায় ১৮ জন হত্যার শিকার হয়েছে। জেলায় চোরাচালানীর কারণে অনেকেই খুন হয়েছে। একটি খুন আরেকটি খুনের কারণ হতে পারে। একটি সংঘাত আরেকটি সংঘাতের কারণ হতে পারে। জেলার ২৮ হাজার হেক্টর খাস জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। নারী নির্যাতন দমন করতে হবে। বাল্য বিয়ে রোধ করতে হবে। অহিংস মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। আইন যেন অর্থ দ্বারা পরিচালিত না হয়। আর এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট রক্ষা করতে হবে, দারিদ্র্য বিমোচন করতে হবে। খাস জমির উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। চিংড়ি চাষকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে। নারী ও নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে শান্তির শীতল বাতাস প্রবাহিত হবে।

মিজানুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার, জনকণ্ঠ, সাতক্ষীরা

মূল্যবোধের অভাবে দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত হলেই দ্বন্দ্ব সংঘাত কমে যাবে। লোভ মোহের উর্ধ্বে থেকে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে পারলে শান্তি ফিরে আসবে।

র”হুল কুদ্দুস

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, সময়ের খবর ও নিউএজ

যে সব বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাত হয় তা চিহ্নিত করতে হবে। দ্বন্দ্ব সংঘাত নিরসনে যে সব সংস্থা কাজ করে তাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে। ঘটনা ঘটনার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘটনা ঘটে গেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বর”ণ ব্যানার্জী

পরিচালক, দীপালোক একাডেমী

সাতক্ষীরায় ২৮ হাজার হেক্টর খাস জমি আছে। এ খাস জমি বণ্টনে সমস্যা থাকায় শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া শত্রু সম্পত্তি নিয়েও রয়েছে জটিলতা। এ জটিলতার কারণে দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শত্রু সম্পত্তি নিয়ে আইন হলেও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নেই। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেও দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে পারলে শান্তি ফিরে আসবে বলে তিনি মত দেন।

জ্যোৎস্না দত্ত

সাধারণ সম্পাদক, জেলা মহিলা পরিষদ

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে দ্বন্দ্ব সংঘাত কমবে। এজন্য পুলিশিং কমিটিসহ সকল কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

মাধব চন্দ্র দত্ত

নির্বাহী পরিচালক, স্বদেশ, সাতক্ষীরা

“জার্নি ফর জিরো’। জাতিসংঘ গৃহীত এসডিজি’র ১৬নং গোলে বলা হয়েছে, ‘পিস এবং জ্যাস্টিসের’ কথা। এটি বাস্তবায়ন করতে সোস্যাল প্লাটফরমগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। স্থানীয় সরকার তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করা গেলেই শান্তির অমিয় ধারা বর্ষিত হবে।

আব্দুস সবুর

নির্বাহী পরিচালক, অগ্রগতি সংস্থা

পারিবারিক কলহ, বাল্য বিবাহ, যৌতুক ইত্যাদি সামাজিক ব্যাধিগুলো নির্মূল করা গেলে দ্বন্দ্ব সংঘাত অনেকাংশে হ্রাস পাবে। পারিবারিক কলহ নিরসনে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে। ২০১৩ সালের পর বিশ্ববাসী সাতক্ষীরাকে অন্যভাবে চিনেছে। যার প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতিতে। আমরা বাইরের রক্ত ক্ষরণ দেখেছি। কিন্তু ভিতরের রক্ত ক্ষরণ দেখিনি। পারস্পারিক সহমর্মিতা থাকলে শান্তি বজায় থাকবে।

আমিনা বিলকিস ময়না

সদস্য, সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টি

শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আইনি সুবিধা কীভাবে পাওয়া যায়? তা পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই শান্তির অভয়বাণী শোনা যাবে।

আসাদুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব গ-গোল হয় তার অধিকাংশই নারী কেন্দ্রিক। যেমন ইভটিজিং। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করতে হবে। পানি ব্যবস্থাপনা নিয়েও অনেক সময় দ্বন্দ্ব সংঘাত হয়। সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

আবুল কালাম আজাদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক পত্রদূত

শান্তি প্রতিষ্ঠায় তারুণ্যকে কাজে লাগাতে হবে। সমাজকে সুশৃঙ্খল রাখতে হবে। সুশীল সমাজকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল প্রকার বিরোধ নিরসনে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূর করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি সমাজকে সচেতন করতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে জাগাতে হবে। কর্তব্যপরায়ণ ও দেশ প্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে সকলকে অহিংস মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

happy wheels 2

Comments