পেশাভিত্তিক দলের সাথে জেন্ডার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মানকিগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার ও স্যামুয়েল হাঁসদা

বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি বিভিন্ন পেশাভিত্তিক দলের সাথে জেন্ডার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বানিয়াজুরী ইউনিয়নের সেক্রেটারী মুক্তারুজাম্মান বাবু। উপস্থিত ছিলেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আল আজাদ, বারসিক কর্মী সুবির কুমার সরকার, শ্যাময়েল হাঁসদা, কৃষক-কৃষাণী, জেলে, কামার, শীল, কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, ডাক্তার, সরকারি চাকুরিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন পেশার নাগরিক প্রমূখ।


আলোচনায় আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, ‘নারীরা একশ ধরনের কাজ করে। সকালে সবার আগে উঠে এবং সবার পরে রাতে ঘুমাতে যায় তারপরও নারীরা অবহেলিত। আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করি। আমরা বিভিন্নভাবে একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। কৃষক কামারের উপর, চালক কৃষকের উপর, চাকুরীজীবী চালকের উপর, জেলে শীলের উপর আমরা যেটাই বলিনা কেন সবাই আমরা একে উপরের উপর নির্ভরশীল। একটি পেশা বিলুপ্ত হলে, আমরা চলতে পারবোনা।’


অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নারী তো আমার বোন, নারী তো আমার মা নারী তো আমার স্ত্রী তাহলে কেন তাকে আমি বঞ্চিত করবো। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের যত পৃথক করবো ততো আমরা পরিবারে পিছিয়ে পড়বো। সমাজে পিছিয়ে পড়বো আমাদের দেশ পিছিয়ে পড়বে। এটা নিজ পরিবার থেকে তৈরি করতে হবে কন্যা সন্তান বা ছেলে সন্তান দুদিকে সমানভাবে অধিকার দিতে হবে।’


উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এক ইঞ্চি মাটি গড়বো সোনার ঘাঁটি। পতিত জমিতে বিভিন্ন ফসল বা সবজি চাষ করতে হবে। সেখানে কিন্তু মায়েরাই বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন সবজি ফলান। বাড়িতে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন করে অর্থ আয় করেন তারা। তাই এখন নারীদের অবহেলা করা চলবে না। তাদের সুযোগ করে দিতে হবে।’


কৃষাণী জোৎ¯œা বেগম বলেন, ‘আমি বাড়িতে সবজি ফলাই, হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করি। সেখানে যা আয় হয় আমার সংসারে খরচ করি। আমার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার কাজে খরচ করি। আমার স্বামী আমাকে উৎসাহ দেয়।’

happy wheels 2

Comments