পলিব্যাগের বিকল্প হিসেবে কাগজের ঠোঙ্গা ও ব্যাগ ব্যবহার করুন
কলমাকান্দা, নেত্রকোনা থেকে গুঞ্জন রেমা
কলমাকান্দা উপজেলার নলছাপ্রা গ্রামে বারসিক’র উদ্যোগে পলিব্যাগের বিকল্প হিসেবে ২০ জন নারী ও পুরুষকে কাগজের ঠোঙ্গা ও ব্যাগ তৈরীর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সম্প্রতি। প্রশিক্ষণে হাতে কলমে কাগজের ঠোঙ্গা ও ব্যাগ তৈরীর কৌশল শিখানো হয়। এছাড়া পলিথিনের ক্ষতিকর দিক ও কাগজের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ফলে অংশগ্রহণকারীরা কাগজের ঠোঙ্গা ও ব্যাগ তৈরির কৌশলটি খুবই আগ্রহের সাথে শিখেছেন।
আমরা অনেক সময় খবরের কাগজ ম্যাগাজিন, পুরনো বই খাতা ইত্যাদি ব্যবহার করার পর হয় ফেলে দেই নাহলে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি অথবা কম দামে কেজি দরে বিক্রি করে দেই। কিন্তু এসব কাগজ দিয়ে ঠোঙ্গা বা ব্যাগ তৈরির মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার করে বাড়তি আয় করা যেতে পারে। তাই গ্রামের নারী পুরুষদের অবসর সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
কাগজের ঠোঙ্গা বানানোটা শিখতে পারলে গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ অবসর সময়ে ঠোঙ্গা বা ব্যাগ তৈরি করে বাড়তি আয় করতে পারবে। এসব কাগজ খুব দ্রুত পচে চায় ফলে পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। সরকারিভাবে পলিব্যাগ বন্ধ ঘোষণা করার ফলে এখন কাজগের ঠোঙ্গা বাজারে ভালোই চাহিদা হচ্ছে। গ্রামের নারীরা যদি কাগজ নিয়ে ঠোঙ্গা ও ব্যাগ তৈরি করতে পারে তবে তাদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন বেকার সমস্যা সমাধান হবে অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ দূষণও রোধ হবে।
আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য দ্রব্যগুলোতে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে পর আমরা যত্র তত্র ফেলে দিচ্ছি। ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। এসব পলিথিনের কারণে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ঠিকমত নিষ্কাসন হয় না ফলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারণে খালবিল ও নদ-নদীর পানি দূষিত হওয়ায় মাছ মাষে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক পচনশীল না হওয়ায় মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে, পলিথিন ও প্লাস্টিক আগুনে পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষণ হচ্ছে। এমন নানা ধরণের সমস্যার কথা বিবেচনা করে সরকারিভাবে পলিব্যাগ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।