ইউনিয়ন পরিষদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরলেন গ্রামবাসীরা
রাজশাহী থেকে মো. জাহিদ আলী
বাংলাদেশ সরকারের গ্রাম পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামের মানুষের কাছের প্রতিষ্ঠানও ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানুয়ালে প্রতিবছর গ্রামের মানুষের কাছে চাহিদা জানার জন্য দুটি ওয়ার্ড সভা করার কথা থাকলেও নানাবিধ কারণে তা করা সম্ভব হয় না। বিধায় সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে চাহিদা যাচাই করে ইউনিয়ন পরিষদ প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের মধ্যে একবার গ্রামের মানুষের কাছে চাহিদা যাচাইয়ের জন্য ওয়ার্ড সভার করা হয়। রাজশাহী তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের চাহিদা যাচাইয়ের জন্য ওয়ার্ড সভাটি ইউনিয়ন পরিষদ ও বারসিকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওয়ার্ড সভায় তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাসেল রহমান ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন কোন সেবা পেতে পারেন তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। ইউপি সদস্য রুস্তম আলী ও হাসান আলীর উপস্থিতে গ্রামের শতাধিক মানুষ তাদের গ্রামে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারী হালেমা বেগম বলেন, ‘আড়াদিঘি পূর্ব পাড়া আজাহারের বাড়ির কাছে একটি সাবমারসিবল পাম্প দরকার ঐখানে খাবার পানির খুব কষ্ট হয়।’ আরেকজন অংগ্রহণকারী মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আড়াদিঘির দক্ষিণ পূর্ব কোনায় শিরিনা বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত একটি ড্রেনের প্রয়োজন।’
অংশগ্রহণকারী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গ্রামের উত্তর পাশে সাইদুলের বাড়ি থেকে সামসুলের বাড়ি পর্যন্ত একটি প্রটেকশান ওয়াল নির্মান প্রয়োজন।’ আব্দুস সামাদ গাইন উত্তর পাড়া আবুল বাড়ি থেকে সামসুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কারের দাবি জানান। এছাড়া প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের জন্য ইফতেষার আহমেদ, জেলেখা, মিনারুল,শাহানাজ, ওয়াইদুল নাম প্রস্তাব করেন গ্রামবাসী।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রাসেল রহমান তিনটি খাবার পানির জন্য তিনটি সাব মারসিবল পাম্প, দুটি ড্রেন, একটি প্রটেকশান ওয়াল, পাঁচটি পায়খানা, পাঁচটি প্রতিবন্ধীর নামের তালিকা, পাঁচটি স্যানিটারি পায়খানা তৈরির তালিকা লিপিবদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ‘গ্রামের সমস্যার কথা আপনাদেরই বলতে হবে, কোথায় কোন কাজ হবে আপনারা যেমন ঠিক করে দিলেন এমনভাবে কাজ করলে প্রকৃত উপকার পাওয়া যায়।’
ইউপি সদস্য আবুল হাসান বলেন, ‘ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে গ্রামের মানুষের চাহিদা নিরুপণ করা হলে গ্রামের মানুষের মধ্যে ইউপি সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হয়।’ তিনি চাহিদাগুলো পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিকে করা হবে বলে জানান।