ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য পরিবেশ রক্ষা করতে হবে
মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার ও শ্যামুয়েল হাসদা
ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের নালী গ্রামে যুব সংগঠন আলোর পথ ও বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, খাদ্য সার্বভৌমত্ব ও জলবায়ু ন্যায্যতা বিষয়ক যুব কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন, ঘিওর থানার সহকারী সাব ইন্সপেক্টর কাজী শাহীন মিয়া, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সুবীর কুমার সরকার, শ্যাময়েল হাসদা, আলপনা সরকার, আলোর পথের সভাপতি আকাশ মিয়া, কৃষক ও ছাত্র যুব সমাজ।
কর্মশালায় আকাশ মিয়ার সভাপতিত্বে বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়করী বিমল রায় কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, খাদ্য সার্বভৌমত্ব ও জলবায়ু ন্যায্যতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশের প্রতিটি উপাদানের সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে। এ পরিবেশের কোনো একটি উপদান যদি হারিয়ে যায় তাহলে আমাদের টিকিয়ে থাকা খুব কঠিন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হঠাৎ বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জলোচ্ছ্বাস বিভিন্ন দুর্যোগের প্রাকৃতিক কৃষি ও কৃষক হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর কৃষিচর্চার মাধ্যমে পারিবারিক কৃষি, প্রাণিসম্পদ পালন, স্থানীয় জাতের শস্য-ফসল উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ ও বিনিময়ের মাধ্যমে প্রাণ, প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষা করা সম্ভব।’
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে পরিবেশ ততো নষ্ট হচ্ছে। আমাদের বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি। তাই আমাদের বর্তমানের কথা চিন্তা না করে আমাদের পরের ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।’
আকাশ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় রাস্তায় তাল ও খেজুর গাছ ও বসতভিটায় ফলজ, বনজ ঔষুধি গাছ রোপণ করেছি। আমরা আমাদের নদী দখল ও দুষণ নিয়ে কাজ করবো এবং নালী বাজারের সমস্ত ময়লা সব জায়গায় না ফেলে গত করে এক জায়গায় ফেলবো।’
কাজী শাহীন মিয়া বলেন, ‘নদীতে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করছি, নদী দখল করছি, বিভিন্ন বর্জ্য ও প্লাস্টিক ফেলছি এবং জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করছি। ফলে আমাদের কৃষিপ্রাণবৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছি। যুব সমাজকে কাজ করতে হবে পরিবেশকে ভালো রাখার জন্য।’