আমরা খেলাধুলা ও সাংষ্কৃৃতিক চর্চা করতে চাই
সিংগাইর মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান
‘নারীর সমঅধিকার সম সুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই প্রতিপাদ্যর আলোকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জেন্ডার নায্যতা ও সামজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সচেতনতা তৈরিতে নবম শ্রেণী ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে কিশোরীদের প্রীতি ফুটবল খেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বারসিক’র সহয়োগতিায় সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের কালিয়াকৈর খান উচ্চ বিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ এই আয়োজন করে। খেলাটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস ছালাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিন শিকদার, সহকারি শিক্ষক দুলাল হোসেন, লোকমান হোসেন অন্যান্য সহকারি শিক্ষকবৃন্দ। নারী দিবসের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল চন্দ্র রায়। নারী দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা করেন বারসিক কর্মকর্তা শিমুল বিশ্বাস ।
আলোচনা সভার সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যুবায়ের হোসেন খান বলেন, ‘পরিবার সমাজ এখনো নারীর প্রতি বৈষম্য রয়ে গেছে। পারিবারিক অসচেতনতার কারণে বাল্য বিয়ের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আমরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করবো। অনেক পরিবারেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী। নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হলে নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’ বিমল চন্দ্র রায় বলেন, নারীর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও সাংষ্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবার, স্কুল ও অন্যন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নারীর অধিকারের পক্ষে কথা বলতে হবে। নারী নির্যাতন বিরোধী আলোচনা বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী হাফসা আক্তার বলেন, ‘নারীদের উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা হচ্ছে বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের কারণে অনেক মেয়েদেরই বিকাশ ঘটে না। আমরা ১৮ বয়সের আগে বিয়ের পাত্রী হতে চাই না। আমরা স্কুল যাত্রী হতে চাই। আমরা খেলাধুলা ও সাংষ্কৃৃতিক চর্চার মাধ্যমে সমাজে বিদ্যমান নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা কতে চাই।’
উল্লেখ্য ফুটবল খেলায় দশম শ্রেণী ১-০ গোলে বিজয়ী হয়। সঞ্চালনা করেন বারসিক কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান।