আসুন সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দিই
মো.নজরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ
“বৈচিত্র্য সুরক্ষায় সাংস্কৃতিক চর্চা করি, বহুত্ববাদী সমাজ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতন,মাদকসহ সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধে এবং বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক সমাজ বিনির্মাণে বায়রা গ্রামীণ শিল্পী সংস্থা ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বেসরকারি সংগঠন বারসিক’র সহযোগিতায় মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলের বায়রা জমিদার বাজারে বাৎসরিক সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২২ উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী গ্রামীণ গানের আসর ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েঠে।
আলোচনা সভায় বায়রা গ্রামীণ শিল্পী সংস্থার সভাপতি মো.আজাহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মশিবুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সভাপতি এ্যাড. দিপক কুমার ঘোষ, বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেওয়ান জিন্নাহ (লাঠু),বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়, বায়রা জমিদার বাজার এর সভাপতি মো.রমজান আলী, বারসিক কর্মসূচি সমন্বয়কারী শিমুল কুমার বিশ্বাস, প্রকল্প কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম, মো.নাসির হোসেন প্রমুখ। সহায়ক হিসেবে আরো ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, গাজী শাহাদাত হোসেন বাদল, বিউটি রানী সরকার, আছিয়া আক্তার ও রিনা আক্তার প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শিল্পীদের প্রতি সমাজে বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতনসহ সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক গান করার আহবান জানান এবং বায়রা নয়াবাড়ি শ্মশান ঘাটের চারপাশে বাউন্ডারি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেন। বক্তারা বলেন, ‘সমাজে সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এছাড়াও সমাজে বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতন যৌতুক ধর্ষণ হত্যাসহ সামাজিক সহিংসতা চলছে। আমরা এগুলোর অবসান চাই। সবকিছু আইন দিয়ে বল প্রয়োগ করে রোধ করা যায়না। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে হবে। তবেই সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সহিংসতা রুখে দেয়া সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য যে, বৈচিত্র্য সুরক্ষায় সাংস্কৃতিক চর্চা করি ও বহুত্ববাদী সমাজ বিনির্মানে এবং বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক জাগরণের লক্ষ্যে একই মঞ্চে দুইদিন ব্যাপী গ্রামীণ গানের আসরে বাউল ও পালা গান অনুষ্ঠিত হয়। পালা গানে এলমে মারিফাত ও শরিয়তের ভূমিকায় গান পরিবেশন করেন বাংলার বিখ্যাত বাউল জালাল সরকার বনাম মায়া সরকার।