সুনামগঞ্জের সীমান্ত গ্রামগুলোর কৃষকরা কাঁঠালের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত
সুনামগঞ্জ থেকে শামস শামীম
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে এবারও প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল উৎপাদিত হয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজার, রাস্তার ধারে এই রসালো কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। সস্তায় বিষমুক্ত রসালো কাঁঠালে রসনার তৃপ্তি মেটাচ্ছেন এলাকাবাসী। দুর্গম এলাকার কারণে এই কাঁঠাল বাজারে নিয়ে আসতে অধিক পরিবহন খরচের কারণে কম দামেই বিক্রি করছেন লোকজন।
এদিকে এই চার উপজেলার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে স্বাভাবিকভাবে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল উৎপাদন হলেও কোন তথ্য নেই জেলা কৃষি বিভাগে। প্রথাগত জ্ঞানেই দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠাল চাষ করছেন এসব এলাকার সাধারণ কৃষক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে তারা এগুলো কমদামে বাজারজাতও করছেন। সদর উপজেলার হাসাউড়া, টেংরাটিলায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ হলেও সেই পরিসংখ্যানও নেই কৃষি বিভাগের হাতে।
সরেজমিন সীমান্ত এলাকার হাসাউড়া, লাউড়েড়গড়, বিশ্বম্ভরপুর সীমান্ত ও দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে গাছভর্তি ক্াঠাল আর ক্াঠাল। এসব ক্াঠাল এখন স্থানীয় বাজারে, রাস্তার ধারের দোকানে বিক্রি হচ্ছে। কম টাকায় সুস্বাদু দেশি কাঁঠাল খেতে পেরে এলাকাবাসীও খুশি।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে সীমান্ত এলাকার ভূমির গঠন উঁচুতে হওয়ায় এবং এসব এলাকার মাটি কাঁঠালের উপযোগী বলে এসব এলাকায় ভালো চাষ হয়। পরিকল্পিত ও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে লাভবান হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে বলে তারা জানান।
তাহিরপুর উপজেলার কড়ইগড়া সুরানী টিলার বাসিন্দা টনি রিছিল বলেন, “আমাদের বড়গোপ টিলায় কয়েক হাজার কাঁঠাল গাছ রয়েছে। আমাদের নিজেদেরই শতাধিক কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর কাঁঠাল এসেছে। দাম কম পেলেও এলাকার লোকজনকে সস্তায় খাওয়াতে পারছি বিষমুক্ত কাঁঠাল এটা আমাদের এক ধরনের শান্তনা।” ডলুড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা খোকা মিয়া বলেন, “আমাদের এলাকায় এবারও প্রচুর কাঁঠাল হয়েছে। কম দামে সুস্বাদু কাঁঠাল খেতে পেরে এলাকাবাসী খুশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় বাধ্য হয়েই কমদামে বিক্রি করতে হয়।”
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. ফিরোজ বলেন, “সুনামগঞ্জে কাঁঠাল চাষের কোন পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। তবে এ নিয়ে কাজ চলছে।”