কৃষকদের রকমারী ধান বাছাই
সত্যরঞ্জন সাহা হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণি সংগঠন ও বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
মাঠ দিবসে এলাকার কৃষকসহ ও বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণ অংশগ্রহণ করে গবেষণা প্লটের ধান নির্বাচন করেন। উক্ত ধান বীজ দিয়ে কৃষক নিজস্ব উপায়ে জমিতে ধান চাষ করেন। কৃষক পর্যায়ে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে জাতবৈচিত্র্য সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহন করেন।
প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে আমন মৌসুমে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে স্থানীয় ৭২ জাতের ধান চাষ করা হয়। স্থানীয় কৃষকগণ নিজেদের ঘরের ধানের বীজ থেকে বীজতলা তৈরি, গোবর দিয়ে সার জৈবসার তৈরি, জমিতে হাতে আগাছা বাছাই ও কৃষকের নিজস্ব উপকরণ এবং ব্যবস্থাপনায় ধান উৎপাদন করেন।
কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটের মাঠ দিবসে ৩৫ জন কৃষক স্থানীয় ৫ জাতের ধান বাছাই করেন। এ ৫টি জাত হালো- মুকবুল, রাজভোগ, গোসাই, এম-২৫২,পারদকলম ধান। এ ধান নির্বাচনের কারণ হিসেবে কৃষকরা জানান, এ ধানগুলোর র্শীষ বড়, গাঁথনী ঘন, ধান ভালো উৎপাদন হবে। ধান গাছ শক্ত নুয়ে পড়বে না, পোকার আক্রমণ কম, গোবর সার দিয়ে ভালো হয় ইত্যাদি।
কৃষক গুরুদাস সরকার, সুফিয়া বেগম, বৈদ্যনাথ সরকার, মাঠ গবেষক গোসাই দাস রায়, ভজন রায় জানান, বিগত সময়ে কৃষকগণ মুকবুল ধান বাছায়ের মাধ্যমে মাঠে চাষাবাদ করছেন। কৃষক পর্যায়ে বিনিময়ের মাধ্যমে ধান জাত সম্প্রসারণ হচ্ছে। পানি সহনশীল কাইশ্যাবিন্নি ধানও চাষ করেন ও ধানের উৎপাদন ভালো হয়। আবার কাইশ্যাবিন্নি ধানে হঠাৎ পানি হলেও সমস্যা হয় না। ধান গবেষণার মাধ্যমে জৈব উপায়ে ধান চাষ ও বীজ সংরক্ষণ করে আমরা চাষ করে আসছেন। তারা বলেন, ‘কৃষকদের সাথে যোগাযোগ তৈরি ও বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান চাষাবাদে নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করে লাভবান হয়েছি।