ধলেশ্বরী নদী দূষণমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
ধলেশ্বরী নারী উন্নয়ন সংগঠনের উদ্যোগ ধলেশ্বরী নদী দূষণমুক্ত করার দাবিতে গতকাল ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের জনগণের পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাথে মতবিনিময় ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদা আক্তার, এ্যাড: দীপক কুমার ঘোষ, ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড: আজহারুল ইসলাম আরজু, ধলেশ^রী নারী সংগঠনের সভাপতি জরিনা বেগম, এবং ধলেশ্বরী নদী পাড়ের নাজমা বেগম, মঞ্জু আক্তার, বিপ্লব হোসেনসহ স্থানীয় জনগণ।
মতবিনিময়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘নদী দূষণ একটি বড় সমস্যা। দেশব্যাপি এই সমস্যা চলছে। তবে সরকার নদী রক্ষায় খুবই আন্তরিক। জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর খনন যাতে সঠিকভাবে হয় এবং বর্জ্য ফেলে যাতে নদীর পানি দূষিত করতে না পারে সে বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো। তবে এক্ষেত্রে এলাকাবাসীর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।’
এ্যাড: দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘বারসিক ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী নদী বাাঁচাও আন্দোলন কমিটি গঠন করার মধ্য দিয়ে ধলেশ্বরী নদীসহ মানিকগঞ্জের সকল নদী রক্ষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এলাকাবাসীকে একত্রিত করার মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ করে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি ধলেশ^রী নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’ তিনি আরও বলেন, ধলেশ্বরী নদী খননও হয়েছে। তবে নদী খননের ফলে নদীতে পান থাকলেও সেই পানি কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারছে না সাধারণ জনগণ। ধলেশ্বরী নদীর প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠা আকিজ শিল্পকারখানার বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। অতিসতত্ত্বর এই দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’
জরিনা বেগম বলেন, “আমরা নদীতে গোসল করতে পারিনা। হাত-পা, চোখ চুলকায়। গরু ঝাপানো যায় না। পানিতে কাপড় কাঁচা যায়না। পানি দিয়ে রান্না করা যায় না। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমরা নদীর পানিতে গোসল করতে চাই।”
মেঘশিমুল গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন বলেন, ‘নদী কাটার ফলে নদীতে অনেক মাছ এসেছে। আমি নদী থেকে মাছ ধরে সেই মাছ বিক্রি করে সংসার চালাই। কিন্তু পানি দূষিত থাকার কারণে অনেক মাছ মরে যাইতেছে। মাছের বংশ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা দূষণমুক্ত নিরাপদ পানি চাই।