উপকূল থেকে বাবলু জোয়ারদার ও বরষা গাইন
প্লাস্টিক বর্জন করি, পৃথিবীকে সুস্থ রাখি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জন দিবস উপলক্ষে আজ ৩ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী বাজারে কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক এর উদ্যাগ ও আয়োজনে এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য অবরোধ কমসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

প্লাস্টিকের অবশিষ্টাংশ মাটিতে না মেশার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণীসম্পদের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মানুষের অসচেতনতা প্লাস্টিক দূষণের অন্যতম কারণ। বর্তমানে যে প্লাস্টিক ব্যবহার করি তা মাটিতে কখনও মেশে না।

প্লাস্টিক ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরে আমাদের প্রতিবেশ পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনায় গড়ে তুলতে অবরোধ কমসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মানবসৃষ্টি নানা উন্নয়ন দূর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি আজ গোটা বিশ্ব ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। এই মুহূর্তে পৃথিবীর দূষণের সবচেয়ে অন্যতম কারণ প্লাস্টিক। আমরা সাধারণ খাবার দাবার থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি যে কোনো জিনিস বাজার থেকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসি। কিন্তু আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে থাকি।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি কোমল পানীয় কোম্পানি বছরে ৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে। আর এই সমস্ত পলিথিন ব্যাগ বা প্লাস্টিক বর্জ্য শেষ পর্যন্ত মাটি, জলাশয়, নদী ও সমুদ্রকে দূষিত করছে যা মানব স্বাস্থ্য ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি।’

পৃথিবীতে প্লাস্টিক দূষণ এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় চলে গিয়েছে, যে কারণে জাতিসংঘ ১০ বছরের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ ২০৩০ এর মধ্যে পৃথিবীর সব দেশগুলোকে প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে।
তাই আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না করে কাপড়ের ব্যাগ বা স্থায়ী ব্যাগ ব্যবহার করি এবং পরিবেশকে সুন্দর রাখি।