সাঁথিয়ায় আগাম ফুলকপির আবাদ করে লাভবান ডক্টর মারুফ বিল্লাহ্
জালাল উদ্দিন সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে
মেধা, শ্রম আর অদম্য ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন কাজে সফলতা অর্জন করা যায়। পৃথিবীতে যারাই সফলতার স্বর্ণ শিখরে উঠেছেন তাদের সবাইকে করতে হয়েছে সীমাহীন পরিশ্রম, সাথে দিতে হয়েছে পাহাড়সম সাহসিকতা ও ইচ্ছা শক্তির পরিচয়। তবেই পৌঁছাতে পেরেছে নির্ধারিত স্বপ্নের লক্ষ্যে। কেউ তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এমনই এক স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন উত্তর শোলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত কিয়াম উদ্দিন খানের ছেলে এবং সাঁথিয়ার জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ডক্টর মারুফ বিল্লাহ। তিনি প্রায় তিন বিঘা জমিতে আগাম ফুল কপির আবাদ করে লাভবান হয়েছেন।
তিনি জানান, জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে আগাম ফুলকপির আবাদ শুরু করা হয় এতে বীজ তলায় ১ মাস ও জমিতে ২ মাসসহ ৩মাস সময় লাগে এ আবাদ করতে। তার তিন বিঘা জমিতে আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। খরচ বাদে তার আয় হবে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। তিনি চাকরির পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে এ আবাদ করে যাচ্ছেন।
ড. মারুফ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। এরপর কৃতিত্বের সাথে ২০০৮ সালে “শিক্ষা বিস্তারে বৃহত্তর পাবনা জেলার অবদান (১৮৯৮-২০০০ খ্রিঃ) একটি পর্যালোচনা” শিরোনামে এমফিল ডিগ্রি এবং ২০১৩ সালে “ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে বৃহত্তর পাবনার মুসলিম মনিষীগণের ভূমিকা (১৮৫৭-১৯৭১ খ্রিঃ)” শিরোনামে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে তার ৪টি গবেষণামূলক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি শুধু চাকরীজীবী নন আদর্শ কৃষকও বটে। তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আমি আরও বেশি করে আবাদ করবো।’ তার এ কাজ দেখে এলাকায় অনেকে ফুলকপির আবাদে উৎসাহিত হয়েছেন।