একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন !
এম আর লিটন, মানিকগঞ্জ থেকে
২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ । প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, দুর্নীতি, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ, যা প্রকৃতপক্ষেই সম্পূর্ণভাবে জনগণের রাষ্ট্র এবং যার মুখ্য চালিকাশক্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।’ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন !
‘দেশকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়ায় আধা-সরকারি ও বেসরকারি খাতও ভূমিকা রাখছে৷ অললাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অনলাইন শপিং বাংলাদেশে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে৷ এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন, ফল, ভর্তি সব কিছুই অনলাইনে হচ্ছে৷ বাংলাদেশে এখন অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, টেলিমেডিসিন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জনপ্রিয় হচ্ছে৷ এখন দেশে বসেই দেশের বাইরের চিকিৎসকের সঙ্গে অনলাইনে পরামর্শ নেয়া যায়৷’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ‘‘আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার কাজ চলছে৷” সজীব ওয়াজেদ জয় আরো বলেন, ‘‘ডিজিটাল সেবা দিতে হলে জনগণকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসতে হবে৷”
২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে ‘ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান’ বা ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করা হয়৷ ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য হলো একুশ শতকে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা যেখানে দারিদ্র্যতা সম্পূর্ণরূপে দূর করা ।‘রাজনৈতিক কাঠামো, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ , আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এড়ানো , রাজনৈতিক সংস্কৃতির রূপান্তর , দুর্নীতি থেকে মুক্ত সমাজ , ক্ষমতায়ন এবং নারীদের জন্য সমান অধিকার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উদ্যোগ ,মৌলিক চাহিদা মিলে , জনসংখ্যা ও শ্রমশক্তি, দারিদ্র্য বিমোচন ,খাদ্য ও পুষ্টি ,স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ,শিক্ষা, শিল্প, শক্তি নিরাপত্তা , অবকাঠামোগত উন্নয়ন ,হাউজিং, পরিবেশ , পানি সম্পদ বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান, মুক্তি অর্জনের অর্জন, সংস্কৃতি, পররাষ্ট্র নীতি, ভালো ধর্ম’ ।
একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদনব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি—সব মিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন সরকার ।’এর ধারাবাহিকতায় সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৬-২৮ ফেব্রুয়ারি, ৩দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভবনী মেলা অনুষ্ঠিত হয় ।
মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ২৬ ফেব্রুয়ারি, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা উদ্বোধন করেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা প্রশাসক নাজমুস সাদাত সেলিম এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান প্রমুখ ।
মেলায় সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক স্টল অংশগ্রণ করে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল উদ্ভাবনী বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করে।২৮ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে মেলার সমাপ্ত হয় ।