ভবিষ্যতে কৃষিতেই বেশি মনোনিবেশ করবেন আকবর আলী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রায়হান কবির রঞ্জু
নাচোল উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়ন বুরিপুকুর গ্রামে বসবাস করেন আকবর আলি। এক মেয়েসহ তাঁর পরিবারের সংখ্যা তিনজন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর আকবর একটি ক্ষুদ্র ঋণভিত্তিক এনজিওতে চাকরি করেন। মাসে ১৩ হাজার টাকার বেতনে কোনরকম সংসার চালাতেন।
সংসারের হাল ধরার জন্য তিনি চাকরির পাশাপাশি কৃষিকাজও শুরু করেন। তার বাবার পতিত থাকা ১৫ শতক জমিতে ফসল উৎপাদন করতে শুরু করেন। ২০২১ সালে বারসিক’র সাথে পরিচিত হয়ে জৈব কৃষির বিভিন্ন বিষয় জানতে পারেন। এর মধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট এর গুনাগুণ সম্পর্কে অবগত হন। এর মধ্যে তিনি সোহাগ পুষ্টি বাড়ির ভার্মিসারসহ বারসিক’র বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন এবং ইউটিউব এ ভার্মিসারের ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সার উৎপাদনের জন্য বারসিক’র সাথে যোগাযোগ করেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2024/01/416167075_915254263160115_4828035810441150728_n-1024x768.jpg)
বারসিকর পক্ষ থেকে তার বাড়ি পরিদর্শন ও মতবিনিময় করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সোহাগ পুষ্টিবাড়ি থেকে ৫ কেজি কেঁচো সংগ্রহ করে শুরু করেন তিনি। ভার্মি সার উৎপাদনের জন্য তিনি ১০টি চারি তৈরি করেন। এভাবে ধীরে ধীরে তিনি ৬০টি চারিতে সার উৎপাদন করছেন।
তিনি জানান, সারের চাহিদা ব্যাপক। বর্তমানে প্রতিমাসে ৫-৬ শত কেজি সার উৎপাদন করছেন তিনি। তিনি ১৪ টাকা কেজি দরে সার বিক্রি করেন এবং মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ করেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2024/01/416184993_1733026457164372_3219860828215725372_n-1024x576.jpg)
জৈব সারের চাহিদা বেশি হওয়ায় সোহাগ পুষ্টিবাড়ির ট্রাইকো কম্পোস্ট পরিদর্শন করে শুরু করেন ট্রাইকোকম্পষ্ট বানানোও। বর্তমানে ট্রাইকো ও কেঁচো সার মিলে মাসে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা আয় করেন। গত ডিসেম্বর থেকে তিনি ৩০টি দেশি জাতের ভেড়া পালন করতে শুরু করেছেন। সেখান থেকেও আয় করতে পারবেন বলে তিনি জানান। আকবর জানান, ভার্মি ও ট্রাইকো বিষয়ে আরও প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নানা বিষয়ে তিনি আরও অভিজ্ঞ হলে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি কৃষিকাজে মনোনিবেশ করবেন।