তাঁদের কোন জায়গায়ই এখন পতিত থাকে না

সাতক্ষীরা ,শ্যামনগর থেকে চম্পা মল্লিক।
বারসিকের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর গ্রামে বিউটি রানীর বাড়িতে সম্প্রতি ১০টি শতবাড়ির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুর, হরিনগর, ধল, মথুরাপুর দ্বীপ ও কেওড়াতলী গ্রামের নারীরা।


সভায় দেবজানী রানী বলেন, ‘আমি আগে যেমন তেমন করে সবজি লাগাতাম। বারসিক’র নিকট থেকে যখন আমি সবজি চাষের কিছু সহায়তা পাই তখন থেকেই মনে অন্যরকম একটা ভালো লাগা তৈরি হলো। তারপর থেকেই বেশি করে সবজি লাগাতে শুরু করি।’ অনিমা রানী বলেন, ‘আমি বারোমাসই খন্দ করতাম। তবে যেখানে সেখানে একটু একটু করে। আমি আগে কখনো কোন এনজিওতে ছিলাম না। বারসিকে যুক্ত হয়ে আমি খুব খুশি। আমি যে কাজ করি, তার উপরেই বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছি যেটা আমার কাজের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি কিছু না পেলেও বারসিকর সাথে থাকতে চাই।’


সুজাতা রানী বলেন, ‘আমি একবছরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনেছি তা হলো সবজি চাষে জৈব সার ও জৈব বালইনাশক ব্যবহার করা। পাশাপাশি লতা জাতীয় সবজি মাচাতে উঠানো। আগে আমরা এ ধরনের সবজি কোন একটি গাছে উঠিয়ে দিতাম, পরে দেখা যেতো বেশিরভাগই ইঁদুরে খেয়ে ফেলতো। কিন্তু এখন মাচাতে দিয়ে সব দিক দিয়ে উপকার পেয়েছি।’ সরমা রানী বলেন , ‘আমি যেমন একজন গৃহিনী তেমনি একজন কৃষাণী। তাই সংসারের কাজের সাথে সবজির কাজে ও খুব পরিশ্রম করি। তবে অচাষকৃত সবজি ও ঔষধি গাছগুলোকেও যে সংরক্ষণ করা উচিৎ এটা আমি বারসিক থেকেই ধারণা লাভ করি এবং নিজের বাড়িতে অচাষকৃত প্লট তৈরি করেছি।’


সভায় উপস্থিত নারীরা জানান, বারসিক’র মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে গিয়ে কাজের প্রতি আগ্রহটা অনেক বাড়ছে তাদের। তারা এখন জায়গা ফেলে রাখেন না। সব জায়গা ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন সঠিকভাবে।

happy wheels 2

Comments