রোপণকৃত তাল গাছগুলো বেড়ে উঠেছে
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
তাল গাছ আমাদের পরিচিত গাছ হলেও বেশ অবহেলিত। আমাদের দেশে তাল গাছ রাস্তার পাশে এমনকি জমির আইলের মধ্যে রোপণ করা সম্ভব। পরিবেশবান্ধব তাল গাছ পরিবেশের ভারসাম্য যেমন আনবে তেমনি কৃষি অর্থনীতিকে বেগবান করবে। তাল গাছের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরুণরা বিভিন্ন সময়ে দেশীয় গাছের পাশাপাশি তাল গাছ রোপণ করে আসছেন বেশ কয়েকবছর ধরে। বারসিক’র বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তারা পরিবেশ, প্রকৃতি সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিবর্তন মোকাবেলাসহ নানান বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় গাছ ও প্রকৃতিকে সুরক্ষা করার ইচ্ছা তাই তাদের মনে জেগেছে এবং এই ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে বিভিন্নভাবে গাছ রোপণ করে আসছেন।
এই তরুণরা ‘আলোর পথ’ নামে একটি সংগঠন দাঁড় করে সেই সংগঠনের ব্যানারে সামাজিক, সাংস্কৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। নালী ইউনিয়নের সংস্কৃতি সুরক্ষায় তারা শিল্পীদের সাথে যৌথভাবেও কাজ করেছে। এভাবে গত ২০১৬ সালে এই তরুণ ও শিল্পীরা মিলে নালী বাজার থেকে বাঠুইমুরী মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার দু’ ধারে ২৫০টি তালেে বীজ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। তাদের রোপণকৃত সেই তাল গাছের বীজগুলো অঙ্কুরিত হয়ে আজ বড় হতে চলেছে।
বারসিক’র সহযোগিতায় রোপণকৃত এই তালগাছগুলো দেখে আজ তাদের মন ভরে গেছে এবং পরিবেশ-প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক আরও উদ্যোগ গ্রহণে তাদেরকে উৎসাহিত করেছে।
আলোর পথের সদস্য তথা আকাশ, রতন, হাসান, মানিক, রিদয়, আলিফ, জয়রা জানান, এ গাছগুলো যাতে ঠিকমতো বেড়ে উঠে সেজন্য আরও দু’বছর পর্যন্ত যত্ন ও পরিচর্যা করবেন। কারণ যতœ না নিলে এ গাছগুলো মরে যেতে পারে কিংবা গরু-ছাগল নষ্ট করতে পারে। তাদের মতে, অন্তত আরও দুই বছর যত্ন নিতে পারলে এ গাছগুলো আর নষ্ট হবে না। তাই এ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের রোপণকৃত বেড়ে উঠা তালগাছসহ যতœ ও পরিচর্যা করছে।
উল্লেখ্য, তাল চাষের বিস্তার ঘটাতে যুবক এবং কৃষকদের নিয়ে বারসিক সামাজিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাল গাছ বজ্রপাত থেকে মানুষ ও প্রাণীকে রক্ষা করে।