মরিচসহ কৃষিজপণ্যের সংরক্ষণাগার নির্মাণের দাবি কৃষকদের

ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
মানিকগঞ্জে কাঁচা মরিচসহ কৃষিপণ্যের জন্য সংরক্ষণাগার ও ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন মরিচ চাষিরা। গতকাল বারসিক’র উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন সভায় তাঁরা এ দাবি জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংডুবী কৃষক সংগঠনের সভাপতি ও কৃষক গবেষক ফোরাম, মানিকগঞ্জের সদস্য প্রফুল্ল কুমার মন্ডল।

সভায় ঘিওর অঞ্চলের ঠাটাংগা গ্রামের মরিচ চাষী শচীন বৈরাগী জানান, এ বছর তিনি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। দীর্ঘদিন খরায় মরিচের জমিতে সেচ দিয়ে দিয়ে গাছ বড় করা হয়েছে। বৈশাখ মাসের শেষে যখন মরিচ তোলা শুরু হলো তখন মরিচ বাজারে দাম মাত্র ৭-৮ টাকা কেজি। মরিচ তোলাতে খরচ দেওয়ার পর কৃষকদের কিছু থাকে না। এ অবস্থায় মরিচের রপ্তানীর জন্য যদি ২-৩ মাস সংরক্ষণ করা যেত তাহলে কৃষকরা ভালো দাম পেতেন বলে তিনি মনে করেন। অন্যদিকে গাংডুবী গ্রামের মরিচ চাষী সুকুমার মন্ডল বলেন, ‘এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি, মরিচের দাম না থাকায় মরিচ গাছেই পেঁকে যাচ্ছে। মরিচ তোলার খরচও ওঠে না। কি করবো আমরা? কিন্তু ২ মাস পড়েই মরিচের দাম ৬০-৭০ টাকা কেজি হয়ে যায়। এ অবস্থায় প্রয়োজন মরিচ সংরক্ষণ করার। ২-৩ মাস কোনভাবে মরিচ সংরক্ষণ করা হলে আমরা মরিচের দাম ভালো পাবো।’ একই কথা জানান কেল্লাই গ্রামের মরিচ চাষী মো. রউফ মিয়া। তিনি জানান, উৎপাদিত ফসল ঢাকায় গিয়ে পাঁচ থেকে ছয় গুণ দরে বিক্রি হয়। এই দুরত্ব কমানোর জন্য মানিকগঞ্জে মরিচ ও সবজির জন্য সংরক্ষণাগার করা প্রয়োজন।

মরিচ চাষী সুজন মন্ডল বলেন, ‘মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুরে পেঁয়াজ ও মরিচ চাষের জন্য পরিচিত। তাই কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম প্রয়োজন। অনলাইন সভায় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী মরিয়ম (১৬) আক্তার, হরিরামপুরের মরিচ চাষী মিজান মিয়া ও শিক্ষক সালাম মিয়া, সিংগাইর উপজেলার বারসিক কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্নয়কারী বিমল রায় বারসিক কর্মকতা মাসুদুর রহমান, সত্যরঞ্জন সাহা, মুক্তার হোসেন ও সুবীর কুমার সরকার প্রমুখ।

happy wheels 2

Comments