শতবাড়ির উন্নয়নে নিজের কাজ সক্রিয় রাখার আহবান

শতবাড়ির উন্নয়নে নিজের কাজ সক্রিয় রাখার আহবান

মানিকগঞ্জ থেকে মাসুদুর রহমান ও বিমল চন্দ্র রায়

করোনার বিরুদ্ধে মানুষের বিজয় অর্জনের অন্যতম শক্তি হচ্ছে সুস্থ দেহ ও মন। দেহ ও মনকে সতেজ রাখতে চাই নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য। এই নিরাপদ পুষ্টিগুণ উৎপাদনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শতবাড়ির কৃষকগণ নিজ বাড়িতে, উঠানে বা পালানে বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফলজ গাছ ও মসলা চাষ করে নিজে ও অপরাপর জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন। নিজ বাড়ির উঠানে বা পালান জমিতে বরাবরই নানান জাতের সবজি চাষ করা হয়। তবে এতোটা গুছিয়ে করা হয় না।
মানিকগঞ্জের শতবাড়ির কৃষকদের নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অনলাইন সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন সভায় অংশগ্রহণকারীগণ।


অনলাইন আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক গবেষক ফোরাম, মানিকগঞ্জ এর আহবায়ক মাসুদ বিশ্বাস। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাস্তা এলাকার কৃষক ও গবেষক, স্বপন কুমার সরকার, বাংগালা গ্রামের মো: ইউসুফ আলী, নয়াবাড়ি গ্রামেরর কৃষক ও শিল্পী মাসুম আলী, নয়াবাড়ির কৃষক ফিরোজা বেগম, নবাগ্রামের হাজেরা বেগম, সাহেরা, ও সাথী আক্তার, বীজ সংরক্ষক মো: ইউসূফ আলী, গরুর যাবতীয় চিকিৎসক বা কবিরাজ মো: নজরুল ইসলাম, বেতিলার এলাকার আছিয়া বেগম, মহিদুর রহমান ও মহর আলী, হরিরামপুর চর লেছড়াগঞ্জ এর যুব কৃষক ও কলাচাষি মো : ফয়সাল ,গাংডুরি এলাকার মরিচ চাষী সুকুমার মন্ডল, হরিরামপুর এলাকার আছমা বেগম ও হাতেম মাষ্টার, পিয়াজচর গ্রামের কৃষক সামেজউদ্দিন, কাটিগ্রামে সামাজিক বাড়ি যেখানে নানান ধরনের সভা ও মানুষের মিলন মেলার উদ্যোক্তা অঞ্জলী রাজবংশী। এছাড়া সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন বারসিক পরিচালক এ বি এম তৌহিদুল আলম, প্রোগ্রাম অফিসার মাসুদুর রহমান, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায় এবং বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বারসিক মানিকগঞ্জের টিমের সদস্যবৃন্দ।


সভায় গরুর চিকিৎসক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গবাদি পশু বিশেষ করে গরুর চিকিৎসা করি, ডেলিভারি করি। গরু বোবা জাত তারা তাদের কথা বলতে পারে না আমি তাদের সেবা করে আনন্দ পাই। টাকা পয়সা ও কোন ডিমান্ড করি না। চেষ্টা থাকবে আরো বেশি বেশি এই কাজটি চালাতে।’ মো: ফয়সাল বলেন, ‘আমি হরিরামপুর চরের একজন যুবক কলা চাষের পাশাপাশি বাড়িতে সবজি ও গবাদি পশু পালন করি। আমি দেখছি এবং নিজেও ভুক্তভোগী সারাবছর আমাদের চরের গরুর দুধের দাম ৩০/৪০ টাকা। যদি দুধকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের এই কম দামে বেচতে হতো না।’
অন্যদিকে নবগ্রাম এলাকার সাহেরা বলেন, ‘আমার বাড়ি খালের ধারে, আমার বাড়িতে যদি কোন বসার ব্যবস্থা করা যায় তবে অনেক বয়স্ক মানুষ এসে, বসে তাদের মনে কথা বলতে পারেন। বায়রা এলাকার কৃষক মো; মাসুম আলী নিজে যান্ত্রিক শিল্পী তবে পাশাপাশি বাড়িও পালানে বসজি চাষ করে তা বিভিন্ন হাটে বাজারে বিক্রি করেন।


প্রায় সকল কৃষক অংশগ্রহণকারী তাদের বাড়ির উঠানে নানান সবজি ও অন্যান্য ফসলের কথা বলেন। বারসিক পরিচালক এ বি এম তৌহিদুল আলম শতবাড়ির উদ্দেশ্য ও পরিচালনা পদ্ধতিসহ অন্যান্য পরামর্শ ও ধারণা দেন।

happy wheels 2

Comments